ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিলো এনসিপি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৬: আবেদন, সিলেবাস ও প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ গাইড মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ: জিপিএ কমল, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন “মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা

চানাচুরের ইংরেজি নাম কী? জানালেন ভাষা ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা

ঢাকা, বাংলাদেশ: মুচমুচে, মশলাদার এবং নোনতা—বাংলাদেশের জনপ্রিয় স্ন্যাকস চানাচুরের স্বাদ সবাই জানেন। কিন্তু এই খাবারের ইংরেজি নাম কী? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। ভাষাবিদ ও খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চানাচুরের সরাসরি ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই, তবে আন্তর্জাতিকভাবে একে “Savory Mix”“Spiced Snack Mix” বা “Indian-style Namkeen” বলা হয়।

“চানাচুর” নামের উৎস

“চানাচুর” শব্দটি হিন্দি শব্দ “চান্না” (ভাজা ছোলা) ও “চুর” (ভাঙ্গা) থেকে এসেছে। এটি মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী স্ন্যাকস, যা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে জনপ্রিয়।

চানাচুরের উপাদান

চানাচুরে সাধারণত থাকে:

  • ভাজা মুড়ি, চানাচুর (ভাজা মুগ ডাল বা ছোলার গুড়া), নুডলসের টুকরো।
  • চিনাবাদাম, কিশমিশ, নারকি, শুকনো মরিচ।
  • মশলা: জিরা, হলুদ, লবণ, চাট মসলা।

কেন সরাসরি ইংরেজি নাম নেই?

খাদ্য সংস্কৃতিবিদ ড. সুমনা রহমান বলেন, “চানাচুর দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বতন্ত্র খাবার। পশ্চিমা দেশে এর সরাসরি সমতুল্য না থাকায় মূল নামই ব্যবহৃত হয়। তবে প্যাকেটজাত চানাচুরকে ‘Spicy Mix’ বা ‘Asian Snack’ নামে বিদেশে বিক্রি করা হয়।”

বিশ্বজুড়ে চানাচুরের পরিচিতি

  • যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেএকে “Bombay Mix” বলা হয়, যদিও এটি চানাচুরের একটি ভিন্ন প্রকার।
  • মধ্যপ্রাচ্যেএটি “ডালমুট” নামে পরিচিত।
  • অস্ট্রেলিয়ায়বাংলা ও ভারতীয় দোকানে “Chanachur” নামেই বিক্রি হয়।

কৌতূহলী তথ্য

  • ঢাকার পুরনো পাড়ায় হস্তনির্মিত চানাচুরের দোকান এখনও আছে।
  • চানাচুরের ১০০ গ্রামে প্রায় ৫০০ ক্যালোরি থাকে!
  • বাংলাদেশে চানাচুরের সাথে“ঝালমুড়ি” মিশিয়েও খাওয়া হয়।

পরিশেষে:

চানাচুর শুধু একটি স্ন্যাকস নয়, বাঙালির সংস্কৃতির অংশ। এর স্বাদ বিশ্বজুড়ে পৌঁছালেও নামটি অপরিবর্তিত থাকাটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ, কিছু শব্দের অনুবাদ নয়, ঐতিহ্যই প্রাধান্য পায়।

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।

‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিলো এনসিপি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা

চানাচুরের ইংরেজি নাম কী? জানালেন ভাষা ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা

আপডেট সময় ০৯:৪১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা, বাংলাদেশ: মুচমুচে, মশলাদার এবং নোনতা—বাংলাদেশের জনপ্রিয় স্ন্যাকস চানাচুরের স্বাদ সবাই জানেন। কিন্তু এই খাবারের ইংরেজি নাম কী? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। ভাষাবিদ ও খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চানাচুরের সরাসরি ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই, তবে আন্তর্জাতিকভাবে একে “Savory Mix”“Spiced Snack Mix” বা “Indian-style Namkeen” বলা হয়।

“চানাচুর” নামের উৎস

“চানাচুর” শব্দটি হিন্দি শব্দ “চান্না” (ভাজা ছোলা) ও “চুর” (ভাঙ্গা) থেকে এসেছে। এটি মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী স্ন্যাকস, যা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে জনপ্রিয়।

চানাচুরের উপাদান

চানাচুরে সাধারণত থাকে:

  • ভাজা মুড়ি, চানাচুর (ভাজা মুগ ডাল বা ছোলার গুড়া), নুডলসের টুকরো।
  • চিনাবাদাম, কিশমিশ, নারকি, শুকনো মরিচ।
  • মশলা: জিরা, হলুদ, লবণ, চাট মসলা।

কেন সরাসরি ইংরেজি নাম নেই?

খাদ্য সংস্কৃতিবিদ ড. সুমনা রহমান বলেন, “চানাচুর দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বতন্ত্র খাবার। পশ্চিমা দেশে এর সরাসরি সমতুল্য না থাকায় মূল নামই ব্যবহৃত হয়। তবে প্যাকেটজাত চানাচুরকে ‘Spicy Mix’ বা ‘Asian Snack’ নামে বিদেশে বিক্রি করা হয়।”

বিশ্বজুড়ে চানাচুরের পরিচিতি

  • যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেএকে “Bombay Mix” বলা হয়, যদিও এটি চানাচুরের একটি ভিন্ন প্রকার।
  • মধ্যপ্রাচ্যেএটি “ডালমুট” নামে পরিচিত।
  • অস্ট্রেলিয়ায়বাংলা ও ভারতীয় দোকানে “Chanachur” নামেই বিক্রি হয়।

কৌতূহলী তথ্য

  • ঢাকার পুরনো পাড়ায় হস্তনির্মিত চানাচুরের দোকান এখনও আছে।
  • চানাচুরের ১০০ গ্রামে প্রায় ৫০০ ক্যালোরি থাকে!
  • বাংলাদেশে চানাচুরের সাথে“ঝালমুড়ি” মিশিয়েও খাওয়া হয়।

পরিশেষে:

চানাচুর শুধু একটি স্ন্যাকস নয়, বাঙালির সংস্কৃতির অংশ। এর স্বাদ বিশ্বজুড়ে পৌঁছালেও নামটি অপরিবর্তিত থাকাটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ, কিছু শব্দের অনুবাদ নয়, ঐতিহ্যই প্রাধান্য পায়।