বাহরাইনের কনস্যুলার সার্ভিস প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, প্রবাসীদের সেবা উন্নয়নে চুক্তির প্রতিশ্রুতি
বাহরাইনের কনস্যুলার সার্ভিসের মহাপরিচালক শেখা নাওয়াল বিনতে খালিদ আল-খলিফার সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. রফিকুল ইসলামের আজ এক ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা দ্রুততর ও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আলোচনার মূল বিষয়
১. ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ:
- বাংলাদেশি কর্মী, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য ভিসা আবেদনের সময়সীমা ৭ কর্মদিবসে কমানোর প্রস্তাব।
- জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল বা পরিবারিক কারণে ভিসা প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানো।
২. কনস্যুলার সেবার উন্নয়ন:
- পাসপোর্ট নবায়ন, জন্মনিবন্ধন ও আইনি সহায়তার জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করতে প্রযুক্তিগত সহায়তার চুক্তি।
- প্রবাসীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ২৪/৭ হেল্পলাইন চালু করা হবে।
৩. শ্রমিক অধিকার রক্ষা:
- অসাধু নিয়োগকর্তা বা মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন।
- শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের সম্প্রসারণ।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রবাসী ভাইবোনদের সেবাই আমাদের অগ্রাধিকার। কনস্যুলার সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা তাদের সময় ও অর্থ বাঁচাতে চাই। বাহরাইন সরকারের সহযোগিতায় এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।”
বাহরাইনের কনস্যুলার প্রধানের প্রতিক্রিয়া
শেখা নাওয়াল বলেন, “বাংলাদেশিরা আমাদের অর্থনীতির অঙ্গ। তাদের সুরক্ষা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।”
প্রবাসীদের জন্য সুসংবাদ
- অনলাইন নোটারি সেবা:দলিল নোটারাইজেশনের জন্য আর দূতাবাসে যেতে হবে না, বাড়ি বসেই অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
- জরুরি পাসপোর্ট ইস্যু:হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত পাসপোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুর ব্যবস্থা চালু হবে।
শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা
কনস্যুলার সেবা মানে হলো—বাহরাইনে থাকা বাংলাদেশিদের সাহায্য করার জন্য দূতাবাসের বিভিন্ন সুবিধা। যেমন, নতুন পাসপোর্ট বানানো বা সমস্যায় ফোন করে সাহায্য পাওয়া। এই বৈঠকে ঠিক হলো, এসব কাজ এখন আরও দ্রুত ও সহজ হবে!
পরবর্তী পদক্ষেপ
- এপ্রিল মাসে দুদেশের কর্মকর্তাদের একটি কর্মশালা হবে ডিজিটাল সেবা চালু করতে।
- প্রবাসীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, যাতে সব সেবা এক জায়গায় পাওয়া যাবে।
শেষ কথা:
এই বৈঠক বাহরাইনে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জীবনযাত্রাকে আরও সুগম করবে। দূতাবাস ও বাহরাইন সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রবাসী কল্যাণ নিশ্চিত হওয়ায় আশাবাদী সকলেই।