ঢাকা, বাংলাদেশ: আন্তর্জাতিক ফুটবলে আরও এক ধাপ অগ্রগতি বাংলাদেশের! ফিফার সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ লাফ দিয়ে ১৮৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে লাল-সবুজের দল। গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল ২০২৫) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার প্রকাশিত তালিকায় এই উন্নতি দেখা গেছে। গত এক বছরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সই এই সাফল্যের মূল কারণ।
কীভাবে এগোলো বাংলাদেশ?
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রভাব:২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেপাল ও ভুটানের বিপক্ষে জয় পয়েন্ট যোগ করেছে।
- ফ্রেন্ডলি ম্যাচের অবদান:গত ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারানোর সাফল্য র্যাংকিং পয়েন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- প্রতিযোগিতামূলক খেলা:দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর বিপক্ষে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে হার-জিতের পার্থক্য কমিয়ে আনা।
“আমাদের লক্ষ্য শীর্ষ ১৫০”: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, “এটি ছোট অগ্রগতি, কিন্তু আশার আলো দেখাচ্ছে। যুব দল থেকে শুরু করে নারী ফুটবলে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে শীর্ষ ১৫০-এ ঢোকার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।”
কোচের প্রতিক্রিয়া:
জাতীয় দলের হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবেরা বলেন, “খেলোয়াড়দের মনোবল ও টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়ছে। আগামী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভালো করলে র্যাংকিং আরও বাড়বে।”
দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থান:
বর্তমান ফিফা র্যাংকিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান:
১. ভারত (১০৪তম)
২. নেপাল (১৬৭তম)
৩. ভুটান (১৮৫তম)
৪. বাংলাদেশ (১৮৮তম)
৫. শ্রীলঙ্কা (১৯২তম)
খেলোয়াড়দের অনুভূতি:
জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভুইয়া বলেন, “ফিফা র্যাংকিং বাড়লে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। মাঠে আরও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে চাই।”
ভক্তদের উৎসাহ:
ঢাকার উত্তরা থেকে ভক্ত রিয়াদ হোসেন বলেন, “২০০২ সালে বাংলাদেশ ১৬৪তম ছিল। আস্তে আস্তে ফিরে আসুক সেই গৌরব।”
পরবর্তী চ্যালেঞ্জ:
আগামী জুনে শুরু হচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে ফিলিপাইন, ইয়েমেন ও উত্তর কোরিয়া। এই ম্যাচগুলোয় ভালো ফলাফল র্যাংকিং আরও উন্নতির সুযোগ দেবে।
পরিশেষে:
ফুটবলে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে “সুযোগের জানালা” বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, যুব লিগের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি কোচিং স্টাফের দক্ষতাকে এই পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবে দেখছেন তারা।