ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

সিঙ্গাপুরে মাতৃভাষার মর্যাদায় আন্তর্জাতিক দিবস পালন, বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন ও স্থানীয় কমিউনিটির যৌথ উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বহুভাষিক কবিতা পাঠের মাধ্যমে বাংলা ভাষার গৌরব এবং ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হয়।

কী কী অনুষ্ঠান হলো?

  • শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি:সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয় নাগরিকরা।
  • আলোচনা সভা:“মাতৃভাষা ও বৈশ্বিক সম্প্রীতি” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা ভাষা সংরক্ষণ ও বহুভাষিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:বাংলাদেশের লোকসংগীত, নৃত্য ও কবিতার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের মালয়, চীনা ও তামিল ভাষায় পরিবেশনা হয়।

কী বললেন হাইকমিশনার?

বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সায়রা তাসনিম বলেন, “১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলারই নয়, সারা বিশ্বের মাতৃভাষাপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা। সিঙ্গাপুরের মতো বহুভাষিক দেশে এই দিবস পালন আরও তাৎপর্যপূর্ণ।”

স্থানীয়দের অংশগ্রহণ

সিঙ্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী ড. মালিকি বিন ইসমাইল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, “ভাষা হলো সংস্কৃতির হৃদয়। সিঙ্গাপুরে ৪টি সরকারি ভাষার পাশাপাশি বাংলার মতো ভাষাগুলোর প্রচার জরুরি।”
এছাড়া, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাংলা বর্ণমালা শেখার ওয়ার্কশপে অংশ নেয়।

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

মাতৃভাষা হলো সেই ভাষা, যা তোমার মা প্রথমে তোমাকে শেখান। যেমন বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। অনেক বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন। এখন সারা বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হয় যেন সবাই নিজের ভাষাকে ভালোবাসে।

কেন এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ?

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই দিনটি বিশ্বের ১৯৩টি দেশে পালিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের হাইলাইটস

  • বাংলাদেশি নৃত্য:“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” গানের সাথে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।
  • কবিতা পাঠ:রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও জহির রায়হানের কবিতা বাংলা, ইংরেজি ও মালয় ভাষায় আবৃত্তি।
  • মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ গান:সিঙ্গাপুরের শিশুরা বাংলা গান “আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি” শেখার চেষ্টা করে।

শেষ কথা:
ভাষার মৃত্যু হলে সংস্কৃতিরও মৃত্যু হয়। সিঙ্গাপুরের এই আয়োজন বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে—মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

সিঙ্গাপুরে মাতৃভাষার মর্যাদায় আন্তর্জাতিক দিবস পালন, বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আপডেট সময় ১০:০০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন ও স্থানীয় কমিউনিটির যৌথ উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বহুভাষিক কবিতা পাঠের মাধ্যমে বাংলা ভাষার গৌরব এবং ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হয়।

কী কী অনুষ্ঠান হলো?

  • শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি:সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয় নাগরিকরা।
  • আলোচনা সভা:“মাতৃভাষা ও বৈশ্বিক সম্প্রীতি” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা ভাষা সংরক্ষণ ও বহুভাষিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:বাংলাদেশের লোকসংগীত, নৃত্য ও কবিতার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের মালয়, চীনা ও তামিল ভাষায় পরিবেশনা হয়।

কী বললেন হাইকমিশনার?

বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সায়রা তাসনিম বলেন, “১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলারই নয়, সারা বিশ্বের মাতৃভাষাপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা। সিঙ্গাপুরের মতো বহুভাষিক দেশে এই দিবস পালন আরও তাৎপর্যপূর্ণ।”

স্থানীয়দের অংশগ্রহণ

সিঙ্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী ড. মালিকি বিন ইসমাইল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, “ভাষা হলো সংস্কৃতির হৃদয়। সিঙ্গাপুরে ৪টি সরকারি ভাষার পাশাপাশি বাংলার মতো ভাষাগুলোর প্রচার জরুরি।”
এছাড়া, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাংলা বর্ণমালা শেখার ওয়ার্কশপে অংশ নেয়।

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

মাতৃভাষা হলো সেই ভাষা, যা তোমার মা প্রথমে তোমাকে শেখান। যেমন বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। অনেক বছর আগে বাংলাদেশের মানুষ এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন। এখন সারা বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হয় যেন সবাই নিজের ভাষাকে ভালোবাসে।

কেন এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ?

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই দিনটি বিশ্বের ১৯৩টি দেশে পালিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের হাইলাইটস

  • বাংলাদেশি নৃত্য:“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” গানের সাথে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।
  • কবিতা পাঠ:রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও জহির রায়হানের কবিতা বাংলা, ইংরেজি ও মালয় ভাষায় আবৃত্তি।
  • মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ গান:সিঙ্গাপুরের শিশুরা বাংলা গান “আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি” শেখার চেষ্টা করে।

শেষ কথা:
ভাষার মৃত্যু হলে সংস্কৃতিরও মৃত্যু হয়। সিঙ্গাপুরের এই আয়োজন বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে—মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সচেতন থাকতে হবে।