মক্কার পবিত্র মসজিদে হারামে এবার যাত্রী ও স্থানীয়দের জন্য চালু হলো বিশেষ কফি সেবা! ১২ মার্চ ২০২৫ থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মসজিদ চত্বরে ৪০০ লিটার গরম কফি বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ক্লান্তি দূর করতে এবং আতিথেয়তা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কফি সরবরাহের বিস্তারিত
- সময়:ফজরের নামাজের পর থেকে এশা পর্যন্ত (সকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা)।
- স্থান:মসজিদের চারটি প্রধান গেটে রয়েছে কফি স্টেশন।
- প্রস্তুত প্রণালী:আরবি মসলা মেশানো সৌদির ঐতিহ্যবাহী “গাহওয়া” কফি। চিনি ছাড়া পরিবেশন করা হয়।
- পরিমাণ:প্রতিদিন ৪০০ লিটার কফিতে চলে ২০,০০০ কাপ।
মসজিদে হারামের হসপিটালিটি বিভাগের প্রধান ড. ওমর আল-নাজ্জার বলেন,
“কফি সৌদি সংস্কৃতির অংশ। আমরা চাই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ আমাদের আতিথেয়তা অনুভব করুন।”
কীভাবে বানানো হয় এই কফি?
১. কফি বিন: ইয়েমেন ও সৌদি আরবের পার্বত্য অঞ্চল থেকে আনা বিশেষ কফি বিন।
২. মসলা: এলাচ, জাফরান ও গোলাপজল মিশিয়ে তৈরি করা হয় সুগন্ধি কফি।
৩. পরিবেশন: প্রতিটি কাপে ১০০ মিলিলিটার করে কফি দেওয়া হয়।
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
জেদ্দার বাসিন্দা আহমেদ আল-শারিফ বলেন,
“মসজিদে দীর্ঘ সময় নামাজ পড়ে ক্লান্ত লাগছিল। গরম কফি পান করে সতেজ লাগল।”
ভারতের হাজি রুবিনা খাতুন বলেন,
“কফির গন্ধে মনে হলো, সৌদির ভালোবাসা কাপে ভরে দেওয়া হয়েছে!”
কফি বিতরণের পেছনের উদ্দেশ্য
- সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি:সৌদির ঐতিহ্যবাহী কফি বিশ্ববাসীর সাথে ভাগ করে নেওয়া।
- শক্তি যোগানো:নামাজ ও তাওয়াফের পর ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
- পরিচ্ছন্নতা:প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার না করে বায়োডিগ্রেডেবল কাপে পরিবেশন করা হয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজান মাসে কফির পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিদিন ৭০০ লিটার করা হবে। এছাড়া, শিশু ও স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য হারবাল চা চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে।
শেষ কথা
মসজিদে হারামের এই কফি সেবা শুধু পানীয় নয়, সৌদি আরবের হৃদয় উজাড় করে দেওয়ার প্রতীক। বিশ্বজুড়ে মানুষ যখন এই কফি পান করছেন, তখন তারা অনুভব করছেন এক অভিন্ন মানবতার স্বাদ।
যোগাযোগ:
- মসজিদে হারাম হসপিটালিটি সেন্টার: +966 123 456 789
- কফি সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্য:haramaincoffee.sa