মাসকাট, ওমান: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ওমান সরকার ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ ২০২৫) দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও দূতাবাস বন্ধ থাকবে। তবে হাসপাতাল, জরুরি সেবা ও খুচরা দোকানগুলো খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কী কী জানা গেল?
মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা ও স্থানীয় প্রশাসনের গাইডলাইন অনুযায়ী:
১. ছুটির সময়সীমা: ৩০ মার্চ (রোববার) থেকে ২ এপ্রিল (বুধবার) পর্যন্ত ৪ দিন সরকারি ছুটি। ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে।
২. দূতাবাস সেবা: বাংলাদেশ দূতাবাস, মাসকাট ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন (+৯৬৮-XXXX-XXXX) চালু থাকবে।
৩. লকডাউন বিধি নেই: করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় চলাচল বা সমাবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য পুলিশি টহল বাড়ানো হবে।
“ঈদের শান্তি যেন অক্ষুণ্ণ থাকে”: প্রশাসনের আবেদন
ওমানের পুলিশ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সালেম আল-হাবসি বলেন, “ঈদের নামাজ, শপিং মল ও পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে সবাই যেন ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলেন এবং শিশুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেন, সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।”
প্রবাসীদের জন্য সুখবর:
- বাস-ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা:২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি পরিবহনে ৫০% ভাড়া ছাড় দেওয়া হবে।
- বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজন:মাসকাটের গ্র্যান্ড মল সংলগ্ন মাঠে ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় হবে “ঈদ মিলন মেলা”। থাকছে কাবাবের স্টল, কনসার্ট ও শিশুদের খেলার জোন।
দোকানপাটের সময়সূচি:
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে, ঈদের দিন (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শপিং মল খোলা থাকবে। সাধারণ দোকানগুলো বিকেল ৪টার পর খুলবে।
প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া:
মাসকাটের রুস্তাক এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সাথে পিকনিক প্ল্যান করেছি। ট্রান্সপোর্ট ছাড় পেলে বাইরে ঘুরতে যাওয়া সহজ হবে।”
সতর্কতা:
- মুদি স্টক:স্থানীয় সুপার মার্কেট মালিকরা পরামর্শ দিয়েছেন, ঈদের আগের দিন অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে আজ থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখতে।
- আবহাওয়ার পূর্বাভাস:ঈদের দিন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যথেষ্ট পানি পান ও ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিশেষে:
ওমানে বসবাসরত প্রায় ৭ লক্ষ প্রবাসীর মধ্যে বাংলাদেশিরাই সবচেয়ে বড় কমিউনিটি। তাদের জন্য ঈদ মানে শুধু উৎসবই নয়, একে অপরের সাথে সম্পর্ক মজবুত করারও সময়। দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর প্রবাসী তরুণদের জন্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হবে।