ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না মালয়েশিয়া ।

মালয়েশিয়া অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। নথিবিহীন প্রবাসীদের নথিভুক্ত করতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয় সরকার খুব শিগগিরই ‘ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ৩.০’ (আরটিকে ৩.০) চালু করবে। এ বিষয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা সত্য নয়।

দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, এখন পর্যন্ত আরটিকে ৩.০ চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, জনসাধারণকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কেউ যেন আরটিকে প্রোগ্রামের নাম ব্যবহার করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো গুজবে বিভ্রান্ত না হয়। সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যের জন্য জনসাধারণকে জেআইএম-এর অফিসিয়াল পোর্টাল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো অনুসরণ করার আহ্বান তিনি।

অভিবাসন বিভাগ বলছে, আরটিকে ২.০ কর্মসূচি, যা ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হয়েছিল, তা ২০২৪ সালের ৩০ জুনে শেষ হয়েছে। এই কর্মসূচি ছিল একটি বিশেষ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কর্মসূচির অধীনে কঠোর সরকারি শর্তাবলি মেনে যোগ্য নিয়োগকারীরা বৈধভাবে তাদের কর্মীদের নিয়োগ করতে পেরেছিলেন। এ কর্মসূচিতে কতজন অভিবাসী বৈধতা নিয়েছেন তা জানানো হয়নি।অভিবাসন বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, দেশটির বৈধকরণ কর্মসূচির রিক্যালিব্রেশন তালিকার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। কর্মসূচির শেষ ধাপে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিক নিবন্ধন করেছিলেন। তবে নানা জটিলতায় অনেক অবৈধ বাংলাদেশি এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেনি।

এছাড়া গত বছরের ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম)। এ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায় দেশটির সরকার। এই প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ করে দেয় সরকার।

এ কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধন করেছিলেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২ লাখের বেশি প্রবাসী। এর মধ্যেও নানা জটিলতায় অনেকে দেশে ফিরতে পারেননি। জটিলতা নিরসনে, প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে প্রবাসীরা আহ্বান জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না মালয়েশিয়া ।

আপডেট সময় ০১:১১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

মালয়েশিয়া অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। নথিবিহীন প্রবাসীদের নথিভুক্ত করতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয় সরকার খুব শিগগিরই ‘ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ৩.০’ (আরটিকে ৩.০) চালু করবে। এ বিষয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা সত্য নয়।

দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, এখন পর্যন্ত আরটিকে ৩.০ চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, জনসাধারণকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কেউ যেন আরটিকে প্রোগ্রামের নাম ব্যবহার করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো গুজবে বিভ্রান্ত না হয়। সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যের জন্য জনসাধারণকে জেআইএম-এর অফিসিয়াল পোর্টাল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো অনুসরণ করার আহ্বান তিনি।

অভিবাসন বিভাগ বলছে, আরটিকে ২.০ কর্মসূচি, যা ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হয়েছিল, তা ২০২৪ সালের ৩০ জুনে শেষ হয়েছে। এই কর্মসূচি ছিল একটি বিশেষ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কর্মসূচির অধীনে কঠোর সরকারি শর্তাবলি মেনে যোগ্য নিয়োগকারীরা বৈধভাবে তাদের কর্মীদের নিয়োগ করতে পেরেছিলেন। এ কর্মসূচিতে কতজন অভিবাসী বৈধতা নিয়েছেন তা জানানো হয়নি।অভিবাসন বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, দেশটির বৈধকরণ কর্মসূচির রিক্যালিব্রেশন তালিকার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। কর্মসূচির শেষ ধাপে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিক নিবন্ধন করেছিলেন। তবে নানা জটিলতায় অনেক অবৈধ বাংলাদেশি এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেনি।

এছাড়া গত বছরের ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম)। এ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায় দেশটির সরকার। এই প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ করে দেয় সরকার।

এ কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধন করেছিলেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২ লাখের বেশি প্রবাসী। এর মধ্যেও নানা জটিলতায় অনেকে দেশে ফিরতে পারেননি। জটিলতা নিরসনে, প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে প্রবাসীরা আহ্বান জানিয়েছেন।