ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

ওমরাহ ভিসার জটিলতা নিরসনে সৌদি সরকারকে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা কমাতে সৌদি আরব সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়। ১৭ মার্চ ২০২৫ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই চিঠিতে ভিসা আবেদনে বিলম্ব, অতিরিক্ত কাগজপত্রের চাহিদা এবং এজেন্টদের বাড়তি ফিের সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত ছয় মাসে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কী বলা হয়েছে চিঠিতে?

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে:
১. ভিসা প্রক্রিয়া সরলীকরণ: অনলাইনে আবেদন বাড়াতে ডিজিটাল সিস্টেম জোরদার করা।
২. এজেন্ট নিয়ন্ত্রণ: লাইসেন্সবিহীন এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. খরচ কমানো: ভিসা ফি ও স্বাস্থ্য বীমার দাম যুক্তিসঙ্গত করতে অনুরোধ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন,

“ওমরাহ একটি পবিত্র ইবাদত। এখানে যেন কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলছি।”

যাত্রীদের কী সমস্যা হচ্ছে?

গত জানুয়ারি থেকে ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়ায় নিম্নোক্ত সমস্যা রিপোর্ট করা হয়েছে:

  • সময় লাগছে ৩০ দিনের বেশি:আগে ৭-১০ কর্মদিবসে ভিসা মিলত, এখন গড়ে ৩০-৪০ দিন।
  • অতিরিক্ত কাগজপত্র:ব্যাংক স্টেটমেন্ট ছাড়াও জমির দলিল, ব্যবসার লাইসেন্স চাওয়া হচ্ছে।
  • এজেন্টদের বাড়তি দাবি:সরকারি ফি ১০,০০০ টাকা, কিন্তু এজেন্টরা ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।

সৌদি সরকারের পূর্ববর্তী সাড়া

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সৌদি ভিসা ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষার অপশন যুক্ত করা হয়। তবে, স্থানীয় এজেন্টদের অনিয়ম এখনও চলছে। সৌদি এম্বেসি সূত্রে জানা গেছে, “ভিসা প্রক্রিয়া তদারকি করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।”

যাত্রীদের আবেদন

চট্টগ্রামের ওমরাহযাত্রী মোহাম্মদ আলী বলেন,

“ভিসার জন্য ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। এজেন্ট বাড়তি ২৫ হাজার টাকা নিলেও কিছু বলতে পারিনি। সরকার যেন আমাদের পাশে দাঁড়ায়।”

পরবর্তী পদক্ষেপ

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি সরকারের জবাব পেলে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া:

  • সচেতনতা ক্যাম্পেইন:ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম সামাজিক মাধ্যম ও মসজিদে প্রচার করা হবে।
  • হেল্পডেস্ক:ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ওমরাহ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার জন্য ১৬১২৩ নম্বরে কল সেন্টার চালু হয়েছে।

শেষ কথা
ওমরাহযাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে দুই দেশের সরকারের সমন্বয় জরুরি। এই চিঠি যেন ইবাদতের পথকে আরও সহজ করে—সেটাই কামনা সবাইর।

যোগাযোগ:

  • ধর্ম মন্ত্রণালয়: ০২-৫৫০০০০৪৪ | ওয়েবসাইট:mora.gov.bd
  • সৌদি ভিসা সেন্টার:visa.mofa.gov.sa
আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

ওমরাহ ভিসার জটিলতা নিরসনে সৌদি সরকারকে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় ০২:০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা কমাতে সৌদি আরব সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়। ১৭ মার্চ ২০২৫ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই চিঠিতে ভিসা আবেদনে বিলম্ব, অতিরিক্ত কাগজপত্রের চাহিদা এবং এজেন্টদের বাড়তি ফিের সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত ছয় মাসে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কী বলা হয়েছে চিঠিতে?

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে:
১. ভিসা প্রক্রিয়া সরলীকরণ: অনলাইনে আবেদন বাড়াতে ডিজিটাল সিস্টেম জোরদার করা।
২. এজেন্ট নিয়ন্ত্রণ: লাইসেন্সবিহীন এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. খরচ কমানো: ভিসা ফি ও স্বাস্থ্য বীমার দাম যুক্তিসঙ্গত করতে অনুরোধ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন,

“ওমরাহ একটি পবিত্র ইবাদত। এখানে যেন কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলছি।”

যাত্রীদের কী সমস্যা হচ্ছে?

গত জানুয়ারি থেকে ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়ায় নিম্নোক্ত সমস্যা রিপোর্ট করা হয়েছে:

  • সময় লাগছে ৩০ দিনের বেশি:আগে ৭-১০ কর্মদিবসে ভিসা মিলত, এখন গড়ে ৩০-৪০ দিন।
  • অতিরিক্ত কাগজপত্র:ব্যাংক স্টেটমেন্ট ছাড়াও জমির দলিল, ব্যবসার লাইসেন্স চাওয়া হচ্ছে।
  • এজেন্টদের বাড়তি দাবি:সরকারি ফি ১০,০০০ টাকা, কিন্তু এজেন্টরা ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।

সৌদি সরকারের পূর্ববর্তী সাড়া

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সৌদি ভিসা ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষার অপশন যুক্ত করা হয়। তবে, স্থানীয় এজেন্টদের অনিয়ম এখনও চলছে। সৌদি এম্বেসি সূত্রে জানা গেছে, “ভিসা প্রক্রিয়া তদারকি করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।”

যাত্রীদের আবেদন

চট্টগ্রামের ওমরাহযাত্রী মোহাম্মদ আলী বলেন,

“ভিসার জন্য ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। এজেন্ট বাড়তি ২৫ হাজার টাকা নিলেও কিছু বলতে পারিনি। সরকার যেন আমাদের পাশে দাঁড়ায়।”

পরবর্তী পদক্ষেপ

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি সরকারের জবাব পেলে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া:

  • সচেতনতা ক্যাম্পেইন:ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম সামাজিক মাধ্যম ও মসজিদে প্রচার করা হবে।
  • হেল্পডেস্ক:ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ওমরাহ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার জন্য ১৬১২৩ নম্বরে কল সেন্টার চালু হয়েছে।

শেষ কথা
ওমরাহযাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে দুই দেশের সরকারের সমন্বয় জরুরি। এই চিঠি যেন ইবাদতের পথকে আরও সহজ করে—সেটাই কামনা সবাইর।

যোগাযোগ:

  • ধর্ম মন্ত্রণালয়: ০২-৫৫০০০০৪৪ | ওয়েবসাইট:mora.gov.bd
  • সৌদি ভিসা সেন্টার:visa.mofa.gov.sa