দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২০ মার্চ ২০২৫ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। বিপরীতে রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপপ্রবাহের বিস্তারিত
- সবচেয়ে গরম জেলা:চুয়াডাঙ্গা (৪০.২°C), যশোর (৩৯.৮°C), রাজশাহী (৩৯.৫°C)।
- প্রভাব:সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাপমাত্রা সহনশীল মাত্রার চেয়ে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি।
- সতর্কতা:শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের বাইরে কম যাওয়ার পরামর্শ।
আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আজিজ বলেন,
“পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গরম বাতাস আসছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই অবস্থা থাকতে পারে। তবে রংপুর ও সিলেটে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টি তাপমাত্রা কমাবে।”
বৃষ্টির আভাস যেসব এলাকায়
- রংপুর:দিনের শেষে থেমে থেমে বৃষ্টি, সম্ভাব্য ৩০-৪০ মিমি।
- সিলেট:হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, ৫০-৬০ মিমি পর্যন্ত।
- ময়মনসিংহ:বিকেলে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা।
জনজীবনে প্রভাব
- স্বাস্থ্যঝুঁকি:ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের ২০ রোগী ভর্তি।
- বিদ্যালয় বন্ধ:খুলনার কিছু স্কুলে ক্লাস বাতিল।
- কৃষি:বৃষ্টির আভাসে উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা আমন চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরকারি পদক্ষেপ
- তাপমাত্রা মোকাবিলায়:শহরে ৫০টি মোবাইল হেলথ ক্যাম্প স্থাপন।
- পানির সরবরাহ:ডেসকো ও ওয়াসাকে ২৪ ঘণ্টা সাপ্লাই নিশ্চিত করার নির্দেশ।
- বৃষ্টি প্রস্তুতি:উত্তরাঞ্চলে নদীর পানি পর্যবেক্ষণে ১০টি টিম মোতায়েন।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
রাজশাহীর বাসিন্দা সুমন মালাকার বলেন,
“রোদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে মাথা ঘুরছে। ছাতা নিয়ে বের হতে হচ্ছে।”
সিলেটের কৃষক আব্দুল করিম বলেন,
“বৃষ্টি হলে ধান রোপণের সময়মতো শেষ করতে পারব। আশা করি, এবার ফসল ভালো হবে।”
কী করবেন?
১. গরমে: হালকা রঙের সুতি কাপড় পরুন, বেশি করে পানি পান করুন।
২. বৃষ্টিতে: নদী-নালার পানি এড়িয়ে চলুন, বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে দাঁড়াবেন না।
৩. জরুরি যোগাযোগ: স্বাস্থ্য সেবা – ১৬২৬৩; আবহাওয়া হটলাইন – ১৬১০০।
শেষ কথা
আবহাওয়ার এই বৈপরীত্য প্রকৃতির স্বাভাবিক চক্রেরই অংশ। সচেতনতা ও প্রস্তুতিই পারে ক্ষতি কমানো। আগামী দুদিনের মধ্যে তাপপ্রবাহ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যোগাযোগ:
- আবহাওয়া অধিদপ্তর: ১৬১০০ | ওয়েবসাইট:bmd.gov.bd
- জরুরি সেবা: ৯৯৯