আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ঢাকার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও তাদের ভোটাধিকার প্রায় উপেক্ষিত। সরকারকে অবিলম্বে বৈধ প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।”
জামায়াত আমিরের প্রধান দাবিসমূহ
১. প্রবাসী ভোটিং কেন্দ্র: সৌদি আরব, ইউএই, মালয়েশিয়াসহ ১০টি দেশে বিশেষ ভোটকেন্দ্র চালু করা।
২. ডিজিটাল ভোটিং: অনলাইনে ভোট দেওয়ার সুযোগসহ নিরাপদ সফটওয়্যার তৈরি।
৩. সচেতনতা কার্যক্রম: প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় নাম নিশ্চিত করতে মোবাইল অ্যাপ চালু।
ড. শফিকুর রহমানের বক্তব্য:
“প্রতি বছর প্রবাসীরা ২০ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ করলেও তাদের রাজনৈতিক অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক।”
প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া
সৌদি আরবের জেদ্দায় কর্মরত মো. সালমান বলেন,
“২০০৮ সাল থেকে সৌদিতে আছি, কখনো ভোট দিতে পারিনি। জামায়াতের এই দাবি আমাদের আশা জাগিয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রিনা আক্তার বলেন,
“অনলাইন ভোটিং চালু হলে আমরা সরাসরি দেশের উন্নয়নে ভোট দিতে পারব।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. তাসনিমা সুলতানা বলেন,
“প্রবাসী ভোটাধিকার নিশ্চিত হলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। তবে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ।”
সরকারের অবস্থান
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী ভোটিংয়ের জন্য পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের কঠোর নীতিমালা এ ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন কিছু কর্মকর্তা।
ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা
জামায়াত ইসলামী আগামী মাসে প্রবাসী ভোটারদের নিয়ে দেশব্যাপী মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায় আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শেষ কথা
প্রবাসীদের ভোটাধিকার ইস্যুটি এখন শুধু রাজনৈতিক দাবিই নয়, বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের প্রশ্ন। সরকার ও বিরোধী দলগুলোর সমন্বিত উদ্যোগই পারে এই সংকটের স্থায়ী সমাধান আনতে।
যোগাযোগ:
- জামায়াত ইসলামী মিডিয়া সেল: ০১৭১১২২৩৩৪৪ | ওয়েবসাইট:jamaat-islami.org
- নির্বাচন কমিশন: ১০৫ | ওয়েবসাইট:ecs.gov.bd