ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

ইংরেজি অক্ষর ‘i’ ও ‘j’-এর মাথায় ফুটকি থাকে কেন? ইতিহাস ঘেঁটে জানালেন ভাষাবিদরা

ঢাকা, বাংলাদেশ: ইংরেজি বর্ণমালার ‘i’ ও ‘j’ অক্ষর দুইটির মাথায় ছোট একটি ফুটকি বা বিন্দু দেখা যায়। এই ফুটকি কীভাবে এলো? এর পেছনে রয়েছে শতাব্দীর পুরনো ইতিহাস, হাতের লেখার সুবিধা এবং ভাষার বিবর্তনের গল্প।

ইতিহাসের পাতায় ফুটকির সূচনা

প্রাচীন লাতিন বর্ণমালায় ‘i’ অক্ষরটি ছিল একদম সোজা একটি দণ্ড (|), যাকে বলা হতো “I longa” (দীর্ঘ আই)। তখন এর মাথায় কোনো ফুটকি ছিল না। কিন্তু মধ্যযুগে ইউরোপের খ্রিস্টীয় সন্ন্যাসীরা হাতে লেখা পুঁথি কপি করার সময় লক্ষ করলেন, ‘i’ অক্ষরটি অন্যান্য দণ্ড বা চিহ্নের (যেমন ‘m’, ‘n’, ‘u’) সাথে গুলিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শব্দের মাঝে ‘i’ থাকলে তা অদৃশ্য হয়ে যেত। তখন তারা ‘i’-এর মাথায় ছোট একটি দাগ বা ফুটকি যোগ করেন, যাতে এটি আলাদা করে চেনা যায়।

‘j’ অক্ষরের জন্ম

‘j’ অক্ষরটি ‘i’ থেকে এসেছে! লাতিন ভাষায় ‘i’ দিয়েই ‘j’ এর মতো আওয়াজ বোঝানো হতো। কিন্তু ১৫শ শতকের দিকে ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায় ‘i’ এর একটি নতুন রূপ চালু হয়, যা পরে ‘j’ নাম পায়। যেহেতু ‘j’ ‘i’ এর সন্তান, তাই সেও ফুটকি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে যায়।

ফুটকির বৈজ্ঞানিক নাম

এই ফুটকির ইংরেজি নাম “Tittle”। বাইবেলের একটি উক্তিতে এর উল্লেখ আছে: “যতদিন না পৃথিবীর সবকিছু শেষ হচ্ছে, ততদিন আই (i) এর ফুটকিও মুছে যাবে না!”

কৌতূহলী তথ্য

  • টার্কিশ বর্ণমালায় দুটি ‘i’:তুর্কি ভাষায় İ (ফুটকিযুক্ত) এবং “I” (ফুটকিহীন) আলাদা অক্ষর। এগুলোর উচ্চারণও ভিন্ন!
  • হাতের লেখায় ফুটকি ছাড়া ‘i’:অনেকেই দ্রুত লিখতে গিয়ে ‘i’ এর ফুটকি ছাড়েন। তবে প্রিন্টেড টেক্সটে এখনও ফুটকি বাধ্যতামূলক।
  • জার্মানিতে ‘i’ এর ডবল ফুটকি:কিছু পুরনো জার্মান ফন্টে ‘i’ এর ওপর দুটি বিন্দু দেখা যায়, তবে সেটা স্বরবর্ণের জন্য আলাদা চিহ্ন।

ফুটকি না থাকলে কী হতো?

ভাষাবিদ ড. সুমনা রহমান বলেন, “ফুটকি ছাড়া ‘i’ এবং ‘j’ অক্ষর দুটি ‘l’ (এল) বা ‘t’ এর সাথে গুলিয়ে যেত। যেমন: ‘mile’ (মাইল) এবং ‘mille’ (লাতিন শব্দ, অর্থ ‘হাজার’) প্রায় একই দেখাত!”

পরিশেষে:

ছোট একটি ফুটকি শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, ভাষাকে করে তোলে দ্ব্যর্থহীন। ইতিহাসের পাতায় এই ছোট চিহ্নের উপস্থিতি প্রমাণ করে, ভাষা কতটা প্রাণবন্ত ও অভিযোজিত।

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

ইংরেজি অক্ষর ‘i’ ও ‘j’-এর মাথায় ফুটকি থাকে কেন? ইতিহাস ঘেঁটে জানালেন ভাষাবিদরা

আপডেট সময় ১২:৫৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা, বাংলাদেশ: ইংরেজি বর্ণমালার ‘i’ ও ‘j’ অক্ষর দুইটির মাথায় ছোট একটি ফুটকি বা বিন্দু দেখা যায়। এই ফুটকি কীভাবে এলো? এর পেছনে রয়েছে শতাব্দীর পুরনো ইতিহাস, হাতের লেখার সুবিধা এবং ভাষার বিবর্তনের গল্প।

ইতিহাসের পাতায় ফুটকির সূচনা

প্রাচীন লাতিন বর্ণমালায় ‘i’ অক্ষরটি ছিল একদম সোজা একটি দণ্ড (|), যাকে বলা হতো “I longa” (দীর্ঘ আই)। তখন এর মাথায় কোনো ফুটকি ছিল না। কিন্তু মধ্যযুগে ইউরোপের খ্রিস্টীয় সন্ন্যাসীরা হাতে লেখা পুঁথি কপি করার সময় লক্ষ করলেন, ‘i’ অক্ষরটি অন্যান্য দণ্ড বা চিহ্নের (যেমন ‘m’, ‘n’, ‘u’) সাথে গুলিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শব্দের মাঝে ‘i’ থাকলে তা অদৃশ্য হয়ে যেত। তখন তারা ‘i’-এর মাথায় ছোট একটি দাগ বা ফুটকি যোগ করেন, যাতে এটি আলাদা করে চেনা যায়।

‘j’ অক্ষরের জন্ম

‘j’ অক্ষরটি ‘i’ থেকে এসেছে! লাতিন ভাষায় ‘i’ দিয়েই ‘j’ এর মতো আওয়াজ বোঝানো হতো। কিন্তু ১৫শ শতকের দিকে ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায় ‘i’ এর একটি নতুন রূপ চালু হয়, যা পরে ‘j’ নাম পায়। যেহেতু ‘j’ ‘i’ এর সন্তান, তাই সেও ফুটকি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে যায়।

ফুটকির বৈজ্ঞানিক নাম

এই ফুটকির ইংরেজি নাম “Tittle”। বাইবেলের একটি উক্তিতে এর উল্লেখ আছে: “যতদিন না পৃথিবীর সবকিছু শেষ হচ্ছে, ততদিন আই (i) এর ফুটকিও মুছে যাবে না!”

কৌতূহলী তথ্য

  • টার্কিশ বর্ণমালায় দুটি ‘i’:তুর্কি ভাষায় İ (ফুটকিযুক্ত) এবং “I” (ফুটকিহীন) আলাদা অক্ষর। এগুলোর উচ্চারণও ভিন্ন!
  • হাতের লেখায় ফুটকি ছাড়া ‘i’:অনেকেই দ্রুত লিখতে গিয়ে ‘i’ এর ফুটকি ছাড়েন। তবে প্রিন্টেড টেক্সটে এখনও ফুটকি বাধ্যতামূলক।
  • জার্মানিতে ‘i’ এর ডবল ফুটকি:কিছু পুরনো জার্মান ফন্টে ‘i’ এর ওপর দুটি বিন্দু দেখা যায়, তবে সেটা স্বরবর্ণের জন্য আলাদা চিহ্ন।

ফুটকি না থাকলে কী হতো?

ভাষাবিদ ড. সুমনা রহমান বলেন, “ফুটকি ছাড়া ‘i’ এবং ‘j’ অক্ষর দুটি ‘l’ (এল) বা ‘t’ এর সাথে গুলিয়ে যেত। যেমন: ‘mile’ (মাইল) এবং ‘mille’ (লাতিন শব্দ, অর্থ ‘হাজার’) প্রায় একই দেখাত!”

পরিশেষে:

ছোট একটি ফুটকি শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, ভাষাকে করে তোলে দ্ব্যর্থহীন। ইতিহাসের পাতায় এই ছোট চিহ্নের উপস্থিতি প্রমাণ করে, ভাষা কতটা প্রাণবন্ত ও অভিযোজিত।