ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

কথা বলার আগে ‘হ্যালো’ কেন বলেন? ৯০% মানুষেরই অজানা ইতিহাস!

ফোনে, ভিডিও কলে বা মুখোমুখি দেখা হলে—প্রথম শব্দটি প্রায়ই ‘হ্যালো’! কিন্তু কেন এই শব্দটি এত জনপ্রিয়? রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৯০% মানুষ ‘হ্যালো’ বলার পেছনের ইতিহাস জানেন না। অনেকে মনে করেন, এটি শুধুই বিদেশি সংস্কৃতির অনুকরণ। কিন্তু আসল ঘটনা শুনলে চমকে যাবেন! চলুন জেনে নিই এই ছোট্ট শব্দের জন্মকাহিনি, বৈশ্বিক প্রসার এবং মনস্তাত্ত্বিক কার্যকারিতা।

১. ‘হ্যালো’র জন্ম: টেলিফোনের যুগে

১৮৭৬ সালে টেলিফোন আবিষ্কারের পর আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল চেয়েছিলেন ফোনে উত্তর দেওয়ার জন্য বলা হোক “Ahoy” (নাবিকদের ডাক)। কিন্তু বিজ্ঞানী টমাস এডিসন “Hello” শব্দটি জনপ্রিয় করেন। তাঁর যুক্তি ছিল—এই শব্দটি স্পষ্ট এবং দূরের ব্যক্তির কানেও সহজে শোনা যায়। ১৮৭৭ সাল নাগাদ টেলিফোন অপারেটরদের প্রশিক্ষণে ‘হ্যালো’ বাধ্যতামূলক করা হয়।

২. বিশ্বজুড়ে ‘হ্যালো’র সমার্থক শব্দ

  • স্প্যানিশ:”Hola”
  • ফ্রেঞ্চ:”Bonjour”
  • জাপানিজ:”Konnichiwa”
  • বাংলা:”হ্যালো”, “নমস্কার”, “আসসালামু আলাইকুম”
    বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় প্রতিটি ভাষায় ‘হ্যালো’র মতো একটি সহজ শব্দ আছে, যা সম্পর্কের সূচনা করে।

৩. মনস্তত্ত্ব: কেন ‘হ্যালো’ বলি?

  • সম্মান স্বীকৃতি:‘হ্যালো’ বলে আমরা অন্যজনের উপস্থিতি স্বীকার করি।
  • কথোপকথনের গেটওয়ে:এটি একটি সিগন্যাল যে আপনি কথা বলতে প্রস্তুত।
  • অনুভূতির বাহক:স্বরের উচ্চতা বা হাসি দিয়ে ‘হ্যালো’র মাধ্যমে মেজাজ বোঝানো যায়।
    মনোবিদ ড. ফারহানা ইসলাম বলেন, “‘হ্যালো’ শুনলে মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা ইতিবাচক অনুভূতি জাগায়।”

৪. বাংলাদেশে ‘হ্যালো’র ব্যবহার

১৯৯০-এর দশকে মোবাইল ফোনের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ‘হ্যালো’ বাংলায় ঢুকে পড়ে। আগে ফোনে বলা হতো ওহে” বা শুনছেন?”। বর্তমানে শহুরে সংস্কৃতিতে ‘হাই’, ‘হ্যালো’র পাশাপাশি আদাব” বা “নমস্কার” ও সমান জনপ্রিয়।

৫. মজার তথ্য

  • প্রথম লিখিত ‘হ্যালো’:১৮২৭ সালে ইংরেজি সাহিত্যে ‘হ্যালো’ শব্দের প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায়।
  • বিশ্ব হ্যালো দিবস:প্রতি বছর ২১ নভেম্বর ১৮০টি দেশে এই দিবস পালন করা হয় শান্তির লক্ষ্যে।
  • গিনেস রেকর্ড:২০২২ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে ১০,০০০ মানুষ একসাথে ‘হ্যালো’ বলে রেকর্ড গড়েন!

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

প্রশ্ন: ফোন ধরলে প্রথমে ‘হ্যালো’ বলি কেন?
উত্তর: ওই শব্দটি শুনলে অন্য প্রান্তের মানুষ জানতে পারে, তুমি কথা শুনতে পাচ্ছ! এটি যেন বলার আগে একটি ‘কুশল প্রশ্ন’।

উপসংহার

‘হ্যালো’ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি সভ্যতার সেতুবন্ধন। পরেরবার কাউকে ‘হ্যালো’ বলার সময় মনে করুন—এই শব্দটি শতাব্দীর বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ আপনার মুখে!

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

কথা বলার আগে ‘হ্যালো’ কেন বলেন? ৯০% মানুষেরই অজানা ইতিহাস!

আপডেট সময় ১২:০০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফোনে, ভিডিও কলে বা মুখোমুখি দেখা হলে—প্রথম শব্দটি প্রায়ই ‘হ্যালো’! কিন্তু কেন এই শব্দটি এত জনপ্রিয়? রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৯০% মানুষ ‘হ্যালো’ বলার পেছনের ইতিহাস জানেন না। অনেকে মনে করেন, এটি শুধুই বিদেশি সংস্কৃতির অনুকরণ। কিন্তু আসল ঘটনা শুনলে চমকে যাবেন! চলুন জেনে নিই এই ছোট্ট শব্দের জন্মকাহিনি, বৈশ্বিক প্রসার এবং মনস্তাত্ত্বিক কার্যকারিতা।

১. ‘হ্যালো’র জন্ম: টেলিফোনের যুগে

১৮৭৬ সালে টেলিফোন আবিষ্কারের পর আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল চেয়েছিলেন ফোনে উত্তর দেওয়ার জন্য বলা হোক “Ahoy” (নাবিকদের ডাক)। কিন্তু বিজ্ঞানী টমাস এডিসন “Hello” শব্দটি জনপ্রিয় করেন। তাঁর যুক্তি ছিল—এই শব্দটি স্পষ্ট এবং দূরের ব্যক্তির কানেও সহজে শোনা যায়। ১৮৭৭ সাল নাগাদ টেলিফোন অপারেটরদের প্রশিক্ষণে ‘হ্যালো’ বাধ্যতামূলক করা হয়।

২. বিশ্বজুড়ে ‘হ্যালো’র সমার্থক শব্দ

  • স্প্যানিশ:”Hola”
  • ফ্রেঞ্চ:”Bonjour”
  • জাপানিজ:”Konnichiwa”
  • বাংলা:”হ্যালো”, “নমস্কার”, “আসসালামু আলাইকুম”
    বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় প্রতিটি ভাষায় ‘হ্যালো’র মতো একটি সহজ শব্দ আছে, যা সম্পর্কের সূচনা করে।

৩. মনস্তত্ত্ব: কেন ‘হ্যালো’ বলি?

  • সম্মান স্বীকৃতি:‘হ্যালো’ বলে আমরা অন্যজনের উপস্থিতি স্বীকার করি।
  • কথোপকথনের গেটওয়ে:এটি একটি সিগন্যাল যে আপনি কথা বলতে প্রস্তুত।
  • অনুভূতির বাহক:স্বরের উচ্চতা বা হাসি দিয়ে ‘হ্যালো’র মাধ্যমে মেজাজ বোঝানো যায়।
    মনোবিদ ড. ফারহানা ইসলাম বলেন, “‘হ্যালো’ শুনলে মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা ইতিবাচক অনুভূতি জাগায়।”

৪. বাংলাদেশে ‘হ্যালো’র ব্যবহার

১৯৯০-এর দশকে মোবাইল ফোনের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ‘হ্যালো’ বাংলায় ঢুকে পড়ে। আগে ফোনে বলা হতো ওহে” বা শুনছেন?”। বর্তমানে শহুরে সংস্কৃতিতে ‘হাই’, ‘হ্যালো’র পাশাপাশি আদাব” বা “নমস্কার” ও সমান জনপ্রিয়।

৫. মজার তথ্য

  • প্রথম লিখিত ‘হ্যালো’:১৮২৭ সালে ইংরেজি সাহিত্যে ‘হ্যালো’ শব্দের প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায়।
  • বিশ্ব হ্যালো দিবস:প্রতি বছর ২১ নভেম্বর ১৮০টি দেশে এই দিবস পালন করা হয় শান্তির লক্ষ্যে।
  • গিনেস রেকর্ড:২০২২ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে ১০,০০০ মানুষ একসাথে ‘হ্যালো’ বলে রেকর্ড গড়েন!

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

প্রশ্ন: ফোন ধরলে প্রথমে ‘হ্যালো’ বলি কেন?
উত্তর: ওই শব্দটি শুনলে অন্য প্রান্তের মানুষ জানতে পারে, তুমি কথা শুনতে পাচ্ছ! এটি যেন বলার আগে একটি ‘কুশল প্রশ্ন’।

উপসংহার

‘হ্যালো’ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি সভ্যতার সেতুবন্ধন। পরেরবার কাউকে ‘হ্যালো’ বলার সময় মনে করুন—এই শব্দটি শতাব্দীর বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ আপনার মুখে!