ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে মাসে ৩ লাখ টাকা আয়, তামিমের গল্পে স্বপ্ন দেখছে তরুণরা

চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ: ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে ৩ লাখ টাকা আয় করছেন চট্টগ্রামের তামিম আহমেদ (২৭)। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করছেন তিনি। গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ ২০২৫) এক সাক্ষাৎকারে তামিম জানান, দক্ষতা, অধ্যবসায় আর সময়মতো ডেলিভারির মাধ্যমেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। তাঁর এই গল্প এখন অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে হাজারো তরুণের।

কী কাজ করেন তামিম?

তামিম মূলত দুই ধরনের সেবা দেন:
১. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ই-কমার্স সাইট, এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম ও কর্পোরেট ওয়েবসাইট বানানো।
২. গ্রাফিক ডিজাইন: লোগো, বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ও প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ডিজাইন।
তিনি প্রতি মাসে গড়ে ১০-১২টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেন। তাঁর গড় আয় ৩ লাখ টাকা, যা শীর্ষ ১% ফ্রিল্যান্সারের কাতারে রাখে তাঁকে।

“অভাবই ছিল প্রেরণা”: তামিমের যাত্রা

২০১৯ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি নেওয়ার পর চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তামিম। তখন ইউটিউব থেকে শিখতে শুরু করেন ওয়েব ডিজাইন। প্রথম প্রজেক্টে আয় করেছিলেন মাত্র ৫ হাজার টাকা। এখন তাঁর ক্লায়েন্টদের ৯০% বিদেশি। তামিম বলেন, “ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু আয় নয়, বিশ্বজুড়ে সম্পর্ক গড়া। আমার এখন ১৫টি দেশের ক্লায়েন্ট আছে।”

দিনের রুটিন:

তামিমের দিন শুরু হয় ভোর ৬টায়। কাজ করেন দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বিকেলে নতুন স্কিল শেখা ও ক্লায়েন্ট মিটিং। সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করে শুক্র-শনি ছুটি রাখেন। “পরিবার ও নিজের জন্য সময় দেওয়াটা জরুরি,” বললেন তিনি।

সাফল্যের চাবিকাঠি:

তামিমের মতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে টিকে থাকতে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:
১. ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন: সময়মতো আপডেট দেওয়া ও সমস্যা সমাধান।
২. পোর্টফোলিও: নিজের সেরা কাজ অনলাইনে দেখানোর প্ল্যাটফর্ম (তামিমের বেভান্স পোর্টফোলিও: www.tamimdesigns.com )।
৩. অটোমেশন: অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য টুলস ব্যবহার (যেমন: Canva, Trello)।

আয়ের গোপন কথা:

তামিমের আয়ের ৭০% আসে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে। বাকিটা গ্রাফিক ডিজাইন ও কনসাল্টেন্সি ফি। তিনি প্রতি ঘণ্টার কাজের জন্য ৫০-৭০ ডলার চার্জ করেন। মাসের শেষে ২০-৩০% টাকা সেভিংসে রাখেন।

সমাজের জন্য ভাবনা:

তামিম স্থানীয় যুবকদের বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান “ডিজিটাল স্কিল ল্যাব” থেকে গত দুই বছরে ৩০০ জন প্রশিক্ষণ পেয়েছে। প্রশিক্ষণার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “তামিম ভাইয়ের পরামর্শে এখন আমিও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করি।”

পরিশেষে:

তামিমের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে একটি ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা। তাঁর পরামর্শ তরুণদের জন্য: “লক্ষ্য ঠিক করুন, প্রতিদিন শিখুন, আর বিশ্বাস রাখুন—অসম্ভব কিছু নেই!”

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

ফ্রিল্যান্সিংয়ে মাসে ৩ লাখ টাকা আয়, তামিমের গল্পে স্বপ্ন দেখছে তরুণরা

আপডেট সময় ০৭:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ: ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে ৩ লাখ টাকা আয় করছেন চট্টগ্রামের তামিম আহমেদ (২৭)। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করছেন তিনি। গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ ২০২৫) এক সাক্ষাৎকারে তামিম জানান, দক্ষতা, অধ্যবসায় আর সময়মতো ডেলিভারির মাধ্যমেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। তাঁর এই গল্প এখন অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে হাজারো তরুণের।

কী কাজ করেন তামিম?

তামিম মূলত দুই ধরনের সেবা দেন:
১. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ই-কমার্স সাইট, এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম ও কর্পোরেট ওয়েবসাইট বানানো।
২. গ্রাফিক ডিজাইন: লোগো, বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ও প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ডিজাইন।
তিনি প্রতি মাসে গড়ে ১০-১২টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেন। তাঁর গড় আয় ৩ লাখ টাকা, যা শীর্ষ ১% ফ্রিল্যান্সারের কাতারে রাখে তাঁকে।

“অভাবই ছিল প্রেরণা”: তামিমের যাত্রা

২০১৯ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি নেওয়ার পর চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তামিম। তখন ইউটিউব থেকে শিখতে শুরু করেন ওয়েব ডিজাইন। প্রথম প্রজেক্টে আয় করেছিলেন মাত্র ৫ হাজার টাকা। এখন তাঁর ক্লায়েন্টদের ৯০% বিদেশি। তামিম বলেন, “ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু আয় নয়, বিশ্বজুড়ে সম্পর্ক গড়া। আমার এখন ১৫টি দেশের ক্লায়েন্ট আছে।”

দিনের রুটিন:

তামিমের দিন শুরু হয় ভোর ৬টায়। কাজ করেন দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বিকেলে নতুন স্কিল শেখা ও ক্লায়েন্ট মিটিং। সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করে শুক্র-শনি ছুটি রাখেন। “পরিবার ও নিজের জন্য সময় দেওয়াটা জরুরি,” বললেন তিনি।

সাফল্যের চাবিকাঠি:

তামিমের মতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে টিকে থাকতে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:
১. ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন: সময়মতো আপডেট দেওয়া ও সমস্যা সমাধান।
২. পোর্টফোলিও: নিজের সেরা কাজ অনলাইনে দেখানোর প্ল্যাটফর্ম (তামিমের বেভান্স পোর্টফোলিও: www.tamimdesigns.com )।
৩. অটোমেশন: অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য টুলস ব্যবহার (যেমন: Canva, Trello)।

আয়ের গোপন কথা:

তামিমের আয়ের ৭০% আসে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে। বাকিটা গ্রাফিক ডিজাইন ও কনসাল্টেন্সি ফি। তিনি প্রতি ঘণ্টার কাজের জন্য ৫০-৭০ ডলার চার্জ করেন। মাসের শেষে ২০-৩০% টাকা সেভিংসে রাখেন।

সমাজের জন্য ভাবনা:

তামিম স্থানীয় যুবকদের বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান “ডিজিটাল স্কিল ল্যাব” থেকে গত দুই বছরে ৩০০ জন প্রশিক্ষণ পেয়েছে। প্রশিক্ষণার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “তামিম ভাইয়ের পরামর্শে এখন আমিও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করি।”

পরিশেষে:

তামিমের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে একটি ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা। তাঁর পরামর্শ তরুণদের জন্য: “লক্ষ্য ঠিক করুন, প্রতিদিন শিখুন, আর বিশ্বাস রাখুন—অসম্ভব কিছু নেই!”