দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার পর চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে পৌঁছেছেন। গতকাল রাতে একটি এম্বুলেন্স ফ্লাইটে তিনি যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাঁর সাথে রয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসকদল ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য। লন্ডনের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আগামী কয়েক সপ্তাহে তাঁর বিশেষ চিকিৎসা চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এক নেতা।
কেন লন্ডনে গেলেন খালেদা জিয়া?
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাত, কিডনি জটিলতা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর জটিল পরীক্ষা ও থেরাপির জন্য লন্ডনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সহায়তা নেওয়া হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মাদামের স্বাস্থ্য আমাদের অগ্রাধিকার। আন্তর্জাতিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পেরে আমরা স্বস্তি বোধ করছি।”
কী বলছে সরকার?
বাংলাদেশ সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল গত ডিসেম্বরে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “মানবিক কারণে তাঁর চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
লন্ডনে অভ্যর্থনা
হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা। বিমানবন্দরে একটি হুইলচেয়ার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা
খালেদা জিয়া দাদী অনেক দিন ধরে অসুস্থ। তাঁকে সুস্থ করতে এখন ইংল্যান্ডের ডাক্তাররা চিকিৎসা করবেন। সেখানে ভালো হাসপাতাল ও ওষুধ আছে, তাই সবাই আশা করছে তিনি দ্রুত সুস্থ হবেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতিক্রিয়া
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি নেতা শামসুন্নাহার চৌধুরী বলেন, “আমাদের নেত্রীর সুস্থতায় সকলের দোয়া প্রয়োজন। তিনি ফিরে এলে আবারও দেশের জন্য কাজ করবেন।”
কী হবে পরবর্তীতে?
- খালেদা জিয়াকে প্রথমে একটি মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
- প্রয়োজনে সার্জারি বা বিশেষ থেরাপি দেওয়া হতে পারে।
- চিকিৎসা শেষে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি
যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য রুশনারা আলী টুইট করেছেন, “খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। তাঁর চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”
শেষ কথা:
রাজনৈতিক বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সব পক্ষের সহমর্মিতা ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এই মুহূর্তে কেবলই কামনা, তিনি যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তি সঞ্চয় করে ফিরে আসতে পারেন।