প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর থেকেই কানাডাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে একটিই প্রশ্ন—কে হবেন দেশের পরবর্তী নেতা? লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ ভোটিং প্রক্রিয়া শুরু হতে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘিরে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।
লিবারেল পার্টির শীর্ষ তিন দাবিদার
১. চ্যrystia ফ্রিল্যান্ড (অর্থমন্ত্রী):
- কারণ:ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় তাঁর সফলতা।
- শক্তি:অভিজ্ঞতা, নারী নেতৃত্ব ও যুবসমাজের সমর্থন।
- চ্যালেঞ্জ:মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিতর্ক।
২. মার্ক মিলার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী):
- কারণ:আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত।
- শক্তি:নব্য প্রজন্মের ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়।
- চ্যালেঞ্জ:অভিজ্ঞতার অভাব।
৩. আনাতোলি ব্যারন (পরিবেশমন্ত্রী):
- কারণ:জলবায়ু নীতিতে তাঁর সাহসী পদক্ষেপ।
- শক্তি:বৈশ্বিক পর্যায়ে পরিচিত মুখ।
- চ্যালেঞ্জ:পশ্চিমা প্রদেশগুলোর সমর্থন কম।
কনজারভেটিভ পার্টির সম্ভাবনা
লিবারেল পার্টির পাশাপাশি বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রেকেও জোরালো দাবিদার হিসেবে দেখছেন অনেকে। গত নির্বাচনে তাঁর দল দ্বিতীয় স্থান পাওয়ায়, লিবারেল দল দুর্বল হলে পিয়েরের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
জনমত কী বলে?
সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী:
- ৪০%চান চ্যrystia ফ্রিল্যান্ড।
- ২৫%সমর্থন পিয়েরে পলিয়েভ্রেকে।
- ২০%নতুন মুখ চাইছেন ভোটাররা।
মন্ট্রিয়ালের এক ভোটারের কথায়: “ফ্রিল্যান্ডের হাতেই অর্থনীতি সুরক্ষিত। তবে নতুন নেতৃত্বও চেষ্টা করতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতামত
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. লিসা মোরগান বলেন, “লিবারেল দল যদি অভ্যন্তরীণ কোন্দল এড়াতে পারে, ফ্রিল্যান্ডই এগিয়ে। তবে পিয়েরের জনপ্রিয়তাও উপেক্ষা করার নয়।”
শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা
কানাডা এখন একটি দৌড় প্রতিযোগিতার মাঠ! অনেকজন দৌড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তিনিই হবেন দেশের নতুন নেতা।
পরবর্তী নির্বাচনের সময়সূচি
- ফেব্রুয়ারি ২০২৫:লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচন।
- মার্চ ২০২৫:সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন।
- অক্টোবর ২০২৫:পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়।
নতুন নেতার সামনে চ্যালেঞ্জ
১. অর্থনৈতিক সংকট: মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণ।
২. জলবায়ু পরিবর্তন: কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ।
৩. স্বাস্থ্যব্যবস্থা: হাসপাতাল ও চিকিৎসক সংকট সমাধান।
শেষ কথা:
কানাডার রাজনীতির এই উত্তাল সময়ে নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব হবে বিশাল। ভোটারদের প্রত্যাশা—যিনি আসবেন, তিনি যেন দেশকে নিয়ে যান সমৃদ্ধির পথে।