পায়ের নখ ত্বকের ভেতরে ঢুকে গিয়ে ফুলে, লাল হয়ে যাওয়া বা ব্যথা—এটাই কুনি নখ (Ingrown Toenail)। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সার্জারি পর্যন্ত গেলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া কিছু উপায়ে আরাম পেতে পারেন। জেনে নিন সহজ ৫টি সমাধান।
১. গরম পানির সেঁক
যা লাগবে: গরম পানি, বড় বাটি, তোয়ালে।
কী করবেন:
- এক বাটি গরম পানিতে আক্রান্ত পা ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। দিনে ৩ বার করুন।
- পানি সামান্য গরম রাখতে সামান্য লবণ বা এপসম সল্ট মিশিয়ে নিন।
কী কাজ করে: গরম সেঁকে ব্যথা কমে, নখের চারপাশের ত্বক নরম হয়।
২. অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
যা লাগবে: ১ কাপ গরম পানি, ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার।
কী করবেন:
- ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
- শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
কী কাজ করে:ভিনেগারে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সংক্রমণ রোধ করে।
৩. হলুদ ও নারিকেল তেল
যা লাগবে: ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ নারিকেল তেল।
কী করবেন:
- হলুদ ও তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
- পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট।
কী কাজ করে:হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ব্যথা ও ফোলা কমায়।
৪. টি ট্রি অয়েল
যা লাগবে: ১ চামচ নারিকেল তেল, ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল।
কী করবেন:
- দুটি তেল মিশিয়ে কটন বল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে দিন দিনে ২ বার লাগান।
কী কাজ করে:টি ট্রি অয়েল জীবাণু মারে, ফোলা কমায়।
৫. তুলা ব্যবহার
যা লাগবে: পরিষ্কার তুলার বল।
কী করবেন:
- পা গরম পানিতে ভেজানোর পর ত্বক নরম হলে, স্টেরিলাইজ্ড চিমটা দিয়ে নখের কোণাটি তুলা দিয়ে সামান্য উঁচু করুন।
- প্রতিদিন তুলা বদলে দিন।
কী কাজ করে:নখ ত্বকের ওপর দিয়ে বাড়তে সাহায্য করে।
কুনি নখ প্রতিরোধের টিপস
- নখ সোজা কাটুন:গোলাকার না কেটে সোজা করুন।
- আঁটসাঁট জুতা এড়িয়ে চলুন:পায়ের আঙুলে চাপ দেবেন না।
- পা পরিষ্কার রাখুন:প্রতিদিন সাবান দিয়ে পা ধুয়ে শুকনো রাখুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- ব্যথা বা ফোলা ২-৩ দিনেও না কমলে।
- পুঁজ জমলে বা জ্বর এলে।
- বারবার একই সমস্যা হলে।
শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা
পায়ের নখ যদি ত্বকের ভেতরে ঢুকে যায়, তখন খুব ব্যথা হয়। গরম পানিতে পা ভেজালে ব্যথা কমবে। হলুদ দাদির মতো কাজ করে—ব্যথা দূর করে!
সতর্কতা:
উপরের পরামর্শগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। নখ কাটার সময় স্টেরিলাইজ্ড যন্ত্র ব্যবহার করুন।