প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করতে অভিনান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৯ মার্চ ২০২৫ থেকে প্রবাসীরা শুধুমাত্র জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমেই পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। আগে যাের জন্য নাগরিকত্ব সনদ, টিন সার্টিফিকেটসহ নানা কাগজপত্র জমা দিতে হতো। এই পরিবর্তনে সময় ও ঝামেলা দুটোই কমবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নতুন পদ্ধতির বিস্তারিত
- প্রয়োজনীয় কাগজ:জন্মনিবন্ধন সনদ (১৭ ডিজিটের আইডি), পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পুরানো পাসপোর্ট (নবায়নের ক্ষেত্রে)।
- আবেদনের স্থান:অনলাইন পোর্টাল (passport.gov.bd) অথবা দেশের বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
- সময় লাগবে:সর্বোচ্চ ১০ কর্মদিবস (জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন,
“প্রবাসীরা আমাদের গর্ব। তাদের সেবাকে সহজ করতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ। জন্মনিবন্ধনই এখন নাগরিকতার প্রধান প্রমাণ।”
কীভাবে আবেদন করবেন?
১. স্টেপ ১: পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে “নতুন আবেদন” অপশন নির্বাচন করুন।
২. স্টেপ ২: জন্মনিবন্ধন নম্বর ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করুন করুন।
৩. স্টেপ ৩: ফি পরিশোধের পর নিকটস্থ দূতাবাসে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ, চোখ স্ক্যান) দিন।
৪. স্টেপ ৪: পাসপোর্ট ডেলিভারির ঠিকানা নিশ্চিত করুন।
প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া
সৌদি আরবের রিয়াদে কর্মরত মো. সেলিম বলেন,
“একসময় পাসপোর্ট নবায়নে ২ মাস লাগত। এখন শুধু জন্মনিবন্ধন দিলেই হলো—অসাধারণ সিদ্ধান্ত!”
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রিনা আক্তার বলেন,
“টিন সার্টিফিকেটের জন্য গ্রামের বাড়িতে দৌড়াদৌড়ি করতে হতো। এখন সবই অনলাইনে!”
সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
- স্মার্ট পাসপোর্ট:২০২৬ সালের মধ্যে জন্মনিবন্ধন আইডির সাথে ইলেকট্রনিক চিপ যুক্ত পাসপোর্ট চালু করা হবে।
- মোবাইল অ্যাপ:পাসপোর্ট আবেদনের Status চেক ও নোটিফিকেশন পেতে অ্যাপ আসছে আগামী মাসে।
সতর্কতা
- জালিয়াতি রোধ:জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই করতে অনলাইনেই QR কোড স্ক্যান করা যাবে।
- হেল্পলাইন:কোনো সমস্যায় কল করুন ১৬৯৯৩ নম্বরে (২৪ ঘণ্টা)।
শেষ কথা
এই সিদ্ধান্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যেমন স্বস্তি বয়ে এনেছে, তেমনি ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে সরকারের সক্ষমতারও প্রতিফলন। এখন শুধু প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারই নিশ্চিত করতে হবে।
যোগাযোগ:
- পাসপোর্ট অফিস:passport.gov.bd | হেল্পলাইন: ১৬৯৯৩
- প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক: +880961234567