ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

নামাজ শেষে ফোনে ৬৫ কোটি টাকা জয়ের খবর, প্রবাসী জাহাঙ্গীরের জীবনে বদলে গেল সব!

দুবাইয়ের একটি মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে মোবাইলে একটি মিসড কল দেখলেন বাংলাদেশি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম। ফোন ধরতেই চমকে গেলেন—লটারি কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হলো, তিনি জিতে গেছেন ৬৫ কোটি টাকা! গত ৫ মার্চ সকালে ঘটনাটি জানার পর বাংলাদেশি এই শ্রমিকের জীবনে এলো অকল্পনীয় এক পরিবর্তন।

কীভাবে জিতলেন জাহাঙ্গীর?

জাহাঙ্গীর আলম দুবাইতে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ফিটার হিসেবে কাজ করেন। গত বছর সহকর্মীদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে দুবাই লটারি এর একটি টিকিট কিনেছিলেন, যার দাম ছিল মাত্র ৩৫ দিরহাম (প্রায় ১,০০০ টাকা)। টিকিট নম্বর মিলে যাওয়ায় তিনি একাই পুরস্কারটির মালিক হয়েছেন।

জাহাঙ্গীরের জবানিতে:

“ভেবেছিলাম কেউ মজা করছে। লটারি অফিসে গিয়ে চেক করতেই চোখে পানি চলে এলো। সবার আগে মা-বাবার ফোন করেছি। ওরা কেঁদে ফেলেছে।”

টাকার ব্যবহার কী করবেন?

জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, এই টাকা দিয়ে তিনি:
১. গ্রামের বাড়ি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) হাসপাতাল বানাবেন।
২. দুবাইতে একটি রেস্টুরেন্ট খুলবেন, যেখানে বাংলাদেশিদের চাকরি দেওয়া হবে।
৩. পরিবারের জন্য বাড়ি-গাড়ি কিনবেন।

কী বলছে লটারি কর্তৃপক্ষ?

দুবাই লটারি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আহমেদ আল মাকতুম বলেন,

“জাহাঙ্গীর সাহেবের মতো ভাগ্যবান খুব কমই দেখা যায়। তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য। ট্যাক্স পরিশোধের পর পুরো টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।”

গ্রামের মানুষের প্রতিক্রিয়া

জাহাঙ্গীরের গ্রামের বন্ধু রফিকুল ইসলাম বলেন,

“জাহাঙ্গীর ভাই খুব দয়ালু মানুষ। স্কুল-কলেজে আমাদের বই কিনে দিত। এখন পুরো গ্রামের ভাগ্য বদলে দেবেন।”

জীবনের বদল

  • পূর্ববর্তী জীবন:মাসিক আয় ১,৫০০ দিরহাম (৪৫,০০০ টাকা)।
  • বর্তমান:দুবাইয়ের পাঁচতারা হোটেলে থাকছেন, আইনজীবী ও ফাইন্যান্স অ্যাডভাইজার নিয়োগ দিয়েছেন।

শেষ কথা
জাহাঙ্গীর আলমের এই সাফল্য প্রমাণ করে, ভাগ্য কখনও কখনও এক মুহূর্তে বদলে দেয় জীবন। তাঁর মতো সাধারণ মানুষের সৎ জীবনযাপন ও স্বপ্ন দেখার গল্পই সমাজে আশার আলো জ্বালায়।

যোগাযোগ:

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

নামাজ শেষে ফোনে ৬৫ কোটি টাকা জয়ের খবর, প্রবাসী জাহাঙ্গীরের জীবনে বদলে গেল সব!

আপডেট সময় ১১:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

দুবাইয়ের একটি মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে মোবাইলে একটি মিসড কল দেখলেন বাংলাদেশি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম। ফোন ধরতেই চমকে গেলেন—লটারি কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হলো, তিনি জিতে গেছেন ৬৫ কোটি টাকা! গত ৫ মার্চ সকালে ঘটনাটি জানার পর বাংলাদেশি এই শ্রমিকের জীবনে এলো অকল্পনীয় এক পরিবর্তন।

কীভাবে জিতলেন জাহাঙ্গীর?

জাহাঙ্গীর আলম দুবাইতে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ফিটার হিসেবে কাজ করেন। গত বছর সহকর্মীদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে দুবাই লটারি এর একটি টিকিট কিনেছিলেন, যার দাম ছিল মাত্র ৩৫ দিরহাম (প্রায় ১,০০০ টাকা)। টিকিট নম্বর মিলে যাওয়ায় তিনি একাই পুরস্কারটির মালিক হয়েছেন।

জাহাঙ্গীরের জবানিতে:

“ভেবেছিলাম কেউ মজা করছে। লটারি অফিসে গিয়ে চেক করতেই চোখে পানি চলে এলো। সবার আগে মা-বাবার ফোন করেছি। ওরা কেঁদে ফেলেছে।”

টাকার ব্যবহার কী করবেন?

জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, এই টাকা দিয়ে তিনি:
১. গ্রামের বাড়ি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) হাসপাতাল বানাবেন।
২. দুবাইতে একটি রেস্টুরেন্ট খুলবেন, যেখানে বাংলাদেশিদের চাকরি দেওয়া হবে।
৩. পরিবারের জন্য বাড়ি-গাড়ি কিনবেন।

কী বলছে লটারি কর্তৃপক্ষ?

দুবাই লটারি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আহমেদ আল মাকতুম বলেন,

“জাহাঙ্গীর সাহেবের মতো ভাগ্যবান খুব কমই দেখা যায়। তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য। ট্যাক্স পরিশোধের পর পুরো টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।”

গ্রামের মানুষের প্রতিক্রিয়া

জাহাঙ্গীরের গ্রামের বন্ধু রফিকুল ইসলাম বলেন,

“জাহাঙ্গীর ভাই খুব দয়ালু মানুষ। স্কুল-কলেজে আমাদের বই কিনে দিত। এখন পুরো গ্রামের ভাগ্য বদলে দেবেন।”

জীবনের বদল

  • পূর্ববর্তী জীবন:মাসিক আয় ১,৫০০ দিরহাম (৪৫,০০০ টাকা)।
  • বর্তমান:দুবাইয়ের পাঁচতারা হোটেলে থাকছেন, আইনজীবী ও ফাইন্যান্স অ্যাডভাইজার নিয়োগ দিয়েছেন।

শেষ কথা
জাহাঙ্গীর আলমের এই সাফল্য প্রমাণ করে, ভাগ্য কখনও কখনও এক মুহূর্তে বদলে দেয় জীবন। তাঁর মতো সাধারণ মানুষের সৎ জীবনযাপন ও স্বপ্ন দেখার গল্পই সমাজে আশার আলো জ্বালায়।

যোগাযোগ: