“অভিভাবকদের চোখে আঙুল দিয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক মাদ্রাসা সুপারের অপকর্ম ফাঁস! গত রাতে আবাসিক ভবনের ছাদে ঘুরতে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ ও তার তিন সহপাঠী জানালা দিয়ে দেখে ফেলেন চরম অস্বস্তিকর এক দৃশ্য – সুপার মাওলানা নিজাম উদ্দিন হামীদীর কোলে বসে আছেন এক নারী শিক্ষিকা! ঘটনার পরের দিনই ‘গোপন কথা ফাঁস’ করার অপরাধে ফয়সালকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফয়সালের মা হালিমা বেগমের ভাষ্য, ‘লজ্জায় মুখ ঢাকছেন গোটা এলাকা! আমার ছেলে সত্য বলায় তাকে রক্তাক্ত করে দিলেন সুপার সাহেব। এখন শুধু বিচার চাই।’ আহত শিক্ষার্থীর শরীরে এখনও দাগী伤痕, যা প্রমাণ করছে মারধরের ভয়াবহতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘নিজাম উদ্দিনের এমন আচরণ নতুন নয়।’ তার বিরুদ্ধে আগেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠলেও ক্ষমতার জোরে সব চাপা দেয়া হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত সুপার নিজাম উদ্দিন কিন্তু ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন: ‘ফয়সাল ক্লাস ফাঁকি দিয়েছিল। শাসন করার সময় সামান্য বেত্রাঘাত লেগেছে।’ তবে তার এই বক্তব্যে সন্দিহান অভিভাবক থেকে প্রশাসন সবাই।
নাঙ্গলকোট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের বক্তব্য, ‘পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে জরুরি তদন্ত শুরু করা হবে।’ এদিকে, ভাইরাল হওয়া এই কেলেঙ্কারিতে উত্তাল পুরো এলাকা – অভিভাবক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই চাইছে কঠোর শাস্তি।
এক্সক্লুসিভ ডিটেইলস:
- ঘটনাস্থল: দারুল ফালাহ্ হামীদীয়া বালক-বালিকা দাখিল মাদ্রাসা
- রাতের অন্ধকারে ছাদের ‘লুকানো চোখ’!
- সুপারের বিরুদ্ধে আগেও ৩টি অনিয়মের অভিযোগ
- মারধরের শিকার ফয়সালের হাসপাতালের মেডিকেল রিপোর্টে ‘নির্যাতন’ প্রমাণিত
- স্থানীয়রা দাবি করছেন: ‘মাদ্রাসাটি বন্ধ হোক, নইলে আরও বিপদ!’