ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

“ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে প্রাণ হারালেন সৎভাই-বোনের হাতে”

ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী তানজিদ হোসেন ও তার বোন তাসনিমা আক্তার (১৯)। কিন্তু সৎভাই-বোনের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তারা। সম্পত্তি বন্টন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্রে রেখে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ:

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানজিদ ও তাসনিমা ঢাকায় পড়াশোনা ও চাকরি করতেন। ঈদের আগে তারা নিজ গ্রাম কালীগঞ্জের বাসায় ফিরেন। ১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সৎভাই সজিব (২৮) ও সৎবোন সাবিনা (২৫) ঘরে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে দৌড়ে এলে সজিব ও সাবিনা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশের বক্তব্য:

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৎভাই-বোনের বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের কথা স্বীকার করা হয়েছে। লাশ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, হত্যার মামলায় দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের শোক ও প্রতিক্রিয়া:

তানজিদ-তাসনিমার মা সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “সৎমায়ের সন্তানরা আমার সন্তানদের ভালো চোখে দেখত না। জমি ভাগ নিয়ে আগেও ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু এত বড় জঘন্য কাজ করবে, ভাবিনি…”

চোখে দেখা সাক্ষীর বর্ণনা:

প্রতিবেশী কামরুল হোসেন বলেন, “রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে গেলাম। তানজিদের গলায় রক্ত… সজিব হাতে ছুরি দেখে আমরা ধরে ফেলি। ভয়াবহ দৃশ্য!”

সমাজের মুখপাত্রদের প্রতিক্রিয়া:

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আব্দুল মান্নান বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক হানাহানি বাড়ছে। আইনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি সবাইকে।”
মানবাধিকার কর্মী ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, “অপরাধ যেন না ঘিরে রাখে ঈদের আনন্দ, সেদিকে সবার সচেতনতা জরুরি।”

নাগরিক সতর্কবার্তা:

পুলিশ ও সমাজকর্মীরা পরামর্শ দিয়েছেন:
১. পারিবারিক বিরোধে ধৈর্য্য ধরে সমাধান খুঁজুন।
২. জমি-সম্পত্তির বন্টনে স্থানীয় প্রশাসন বা আইনজীবীর সাহায্য নিন।
৩. কোনো সহিংসতার ইঙ্গিত পেলে অবিলম্বে ৯৯৯-এ জানান।

শেষ কথা:

ঈদের মতো পবিত্র সময়ে এই হত্যাকাণ্ড সমাজকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। পারিবারিক বন্ধনই হোক হিংসার বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি—এই প্রত্যাশা সকলের।

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

“ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে প্রাণ হারালেন সৎভাই-বোনের হাতে”

আপডেট সময় ০২:০৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী তানজিদ হোসেন ও তার বোন তাসনিমা আক্তার (১৯)। কিন্তু সৎভাই-বোনের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তারা। সম্পত্তি বন্টন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্রে রেখে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ:

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানজিদ ও তাসনিমা ঢাকায় পড়াশোনা ও চাকরি করতেন। ঈদের আগে তারা নিজ গ্রাম কালীগঞ্জের বাসায় ফিরেন। ১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সৎভাই সজিব (২৮) ও সৎবোন সাবিনা (২৫) ঘরে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে দৌড়ে এলে সজিব ও সাবিনা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশের বক্তব্য:

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৎভাই-বোনের বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের কথা স্বীকার করা হয়েছে। লাশ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, হত্যার মামলায় দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের শোক ও প্রতিক্রিয়া:

তানজিদ-তাসনিমার মা সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “সৎমায়ের সন্তানরা আমার সন্তানদের ভালো চোখে দেখত না। জমি ভাগ নিয়ে আগেও ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু এত বড় জঘন্য কাজ করবে, ভাবিনি…”

চোখে দেখা সাক্ষীর বর্ণনা:

প্রতিবেশী কামরুল হোসেন বলেন, “রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে গেলাম। তানজিদের গলায় রক্ত… সজিব হাতে ছুরি দেখে আমরা ধরে ফেলি। ভয়াবহ দৃশ্য!”

সমাজের মুখপাত্রদের প্রতিক্রিয়া:

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আব্দুল মান্নান বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক হানাহানি বাড়ছে। আইনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি সবাইকে।”
মানবাধিকার কর্মী ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, “অপরাধ যেন না ঘিরে রাখে ঈদের আনন্দ, সেদিকে সবার সচেতনতা জরুরি।”

নাগরিক সতর্কবার্তা:

পুলিশ ও সমাজকর্মীরা পরামর্শ দিয়েছেন:
১. পারিবারিক বিরোধে ধৈর্য্য ধরে সমাধান খুঁজুন।
২. জমি-সম্পত্তির বন্টনে স্থানীয় প্রশাসন বা আইনজীবীর সাহায্য নিন।
৩. কোনো সহিংসতার ইঙ্গিত পেলে অবিলম্বে ৯৯৯-এ জানান।

শেষ কথা:

ঈদের মতো পবিত্র সময়ে এই হত্যাকাণ্ড সমাজকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। পারিবারিক বন্ধনই হোক হিংসার বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি—এই প্রত্যাশা সকলের।