নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশবাসীর উদ্দেশে আশা ও ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ফাহমিদা বেগম। রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আলাদা বিবৃতিতে তারা ২০২৫ সালকে “ঐক্য, শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের বছর” হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির বার্তা: শিশুদের শিক্ষা ও পরিবেশের প্রতিশ্রুতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বক্তব্যে বলেন, “২০২৫ সাল হোক আমাদের শিশুদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ার বছর। প্রতিটি শিশু যেন সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করব।“ তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন:
- সব স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব ও শিশুবান্ধব পাঠ্যক্রম চালু করা।
- খেলার মাঠ ও সবুজ পার্ক বাড়ানো।
- দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে বই ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার উদ্যোগ জোরদার করা।
প্রধান উপদেষ্টার লক্ষ্য: নারীর ক্ষমতায়ন ও যুবসমাজের ভূমিকা
প্রধান উপদেষ্টা ড. ফাহমিদা বেগম তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “নতুন বছরেই আমরা দেখব, নারীরা কীভাবে দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠছেন। এজন্য যুবসমাজকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।“ তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী:
- গ্রামে গ্রামে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ফান্ড বাড়ানো হবে।
- প্রতিটি জেলায় যুবকেন্দ্রে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ভাষাশিক্ষার কোর্স চালু করা হবে।
- বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি রোধে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হবে।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
রাজশাহীর বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা সুমি আক্তার বলেন, “শিশুদের জন্য এত পরিকল্পনা শুনে ভালো লাগল। এখন চাই, এই কথাগুলো যেন বাস্তবেও দেখা যায়।“ ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আদনান হোসেন adds, “যুবকেন্দ্রের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য বড় সুযোগ। নতুন বছরে নতুন কিছু শেখার আশা রাখি।“
নতুন বছরের শুভেচ্ছা কীভাবে পৌঁছালো?
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বার্তা সকালে টেলিভিশন, রেডিও এবং সরকারি ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়। এছাড়া, মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরের ঘোষণাগুলো বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।
শেষ কথা:
নতুন বছরকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার এই শুভেচ্ছা বার্তা দেশবাসীর মনে নতুন উদ্যমের সঞ্চার করেছে। এবারের প্রতিশ্রুতিগুলো যদি বাস্তবায়িত হয়, তা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।