বাহরাইনে বাংলাদেশি শ্রমিক ও পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ নিয়ে দেশটির শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী জসিম বিন মুবারক আল সওয়াদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম। আজ রাজধানী মানামার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে শ্রম অভিবাসন, পর্যটন ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
আলোচনার মূল বিষয়
- শ্রমিক ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি:বর্তমানে ২ বছরের ভিসাকে ৩ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব।
- পর্যটক ভিসা চালু:বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা (Visa on Arrival) সুবিধার আবেদন।
- দক্ষ কর্মীদের জন্য বিশেষ ক্যাটাগরি:আইটি বিশেষজ্ঞ, নার্স ও ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দ্রুত ট্র্যাক ভিসা প্রক্রিয়া।
- ভিসা ফি হ্রাস:নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের জন্য ফি ৫০% কমানোর পরিকল্পনা।
কী বলেছেন রাষ্ট্রদূত?
ড. নজরুল ইসলাম জানান, “বাহরাইনে ১ লাখের বেশি বাংলাদেশি কাজ করছেন। তাঁদের ভিসা জটিলতা কমলে দুদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। আমরা চাই, বাহরাইন হোক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ গেটওয়ে।”
বাহরাইন মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
মন্ত্রী জসিম বিন মুবারক বলেন, “বাংলাদেশি কর্মীরা আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, আগামী মাসেই একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
ভিসা সহজীকরণের সম্ভাব্য সুবিধা
১. শ্রমিকদের জন্য: পরিবার নিয়ে আসা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও চিকিৎসা সুবিধা পাবে।
২. পর্যটকদের জন্য: বাহরাইনের ঐতিহাসিক স্থান (কাতার আল-বাহরাইন, আল ফতেহ মসজিদ) ভ্রমণে সুবিধা।
৩. বাণিজ্যে প্রভাব: বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির নতুন দরজা খুলবে।
শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা
ভিসা হলো অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতিপত্র। বাহরাইনে চাচা-মামারা যদি সহজে এই অনুমতি পান, তাহলে তাদের কাজে যেতে সুবিধা হবে। আর আমরা বাহরাইনের মসজিদ বা সমুদ্রসৈকত দেখতে পারবো!
পরবর্তী পদক্ষেপ
- বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইন কর্তৃপক্ষের সাথে আগামী ১৫ মার্চ একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করবে।
- এপ্রিল মাসে ঢাকায় দুই দেশের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে।
শেষ কথা:
এই আলোচনা বাংলাদেশ-বাহরাইন সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ভিসা নীতি সহজ হলে প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও ত্বরান্বিত হবে।