বাংলাদেশে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ড. খালেদ আল-ফায়েজের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহিদুল হকের আজ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় জর্ডান দূতাবাসে আয়োজিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু
- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ:পাট, ওষুধ, হালাল পণ্য রপ্তানি এবং জর্ডানে বাংলাদেশি বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে পরিকল্পনা।
- শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও গবেষণা কর্মসূচি চালুর বিষয়ে সমঝোতা।
- শ্রমবাজার:জর্ডানে দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং কর্মী অধিকার সুরক্ষা।
- সাংস্কৃতিক বিনিময়:দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, সংগীত ও উৎসবের পারস্পরিক প্রদর্শনীর প্রস্তাব।
রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহিদুল হক বলেন, “জর্ডানের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সুদৃঢ়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী, আমরা প্রযুক্তি ও সবুজ শক্তির মতো ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়াব।”
জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ড. খালেদ আল-ফায়েজ বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অগ্রগতি প্রশংসনীয়। জর্ডান এখানকার ডিজিটালাইজেশন ও কৃষিখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করব।”
কেন এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?
জর্ডান মধ্য প্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদার। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক জর্ডানে কর্মসংস্থানের জন্য যান। এছাড়া, দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন ডলারে সীমিত।
পরবর্তী পদক্ষেপ
- আগামী এপ্রিলে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যৌথ বাণিজ্য ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
- বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনীর জন্য জর্ডানে একটি “ট্রেড উইক” আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা
রাষ্ট্রদূতরা হলেন দেশের প্রতিনিধি। তাঁরা অন্য দেশের প্রতিনিধিদের সাথে মিলে কীভাবে দুটি দেশের মানুষ একে অপরকে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেন। যেমন—জর্ডানের মানুষ যদি বাংলাদেশের পাটের ব্যাগ ব্যবহার করে, আর আমরা যদি তাদের জর্ডানের খেজুর খাই, সেটা ভালো!