ঢাকা , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা কেটে ফেলা চুল-নখ কোথায় ফেলবেন? ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিবেশবান্ধব সমাধান সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করা যাবে? ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা মৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেন: মনোবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
নোটিশঃ
সকাল হোক সত্য খবর দিয়ে । দেশ - বিদেশের সর্বশেষ খবর সবার আগে পেতে সকালের বার্তা এর সাথেই থাকুন ।

বাংলাদেশ ও জর্ডানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ড. খালেদ আল-ফায়েজের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহিদুল হকের আজ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় জর্ডান দূতাবাসে আয়োজিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনার মূল বিষয়বস্তু

  • বাণিজ্য ও বিনিয়োগ:পাট, ওষুধ, হালাল পণ্য রপ্তানি এবং জর্ডানে বাংলাদেশি বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে পরিকল্পনা।
  • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও গবেষণা কর্মসূচি চালুর বিষয়ে সমঝোতা।
  • শ্রমবাজার:জর্ডানে দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং কর্মী অধিকার সুরক্ষা।
  • সাংস্কৃতিক বিনিময়:দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, সংগীত ও উৎসবের পারস্পরিক প্রদর্শনীর প্রস্তাব।

রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহিদুল হক বলেন, “জর্ডানের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সুদৃঢ়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী, আমরা প্রযুক্তি ও সবুজ শক্তির মতো ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়াব।”

জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ড. খালেদ আল-ফায়েজ বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অগ্রগতি প্রশংসনীয়। জর্ডান এখানকার ডিজিটালাইজেশন ও কৃষিখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করব।”

কেন এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?

জর্ডান মধ্য প্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদার। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক জর্ডানে কর্মসংস্থানের জন্য যান। এছাড়া, দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন ডলারে সীমিত।

পরবর্তী পদক্ষেপ

  • আগামী এপ্রিলে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যৌথ বাণিজ্য ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
  • বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনীর জন্য জর্ডানে একটি “ট্রেড উইক” আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

রাষ্ট্রদূতরা হলেন দেশের প্রতিনিধি। তাঁরা অন্য দেশের প্রতিনিধিদের সাথে মিলে কীভাবে দুটি দেশের মানুষ একে অপরকে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেন। যেমন—জর্ডানের মানুষ যদি বাংলাদেশের পাটের ব্যাগ ব্যবহার করে, আর আমরা যদি তাদের জর্ডানের খেজুর খাই, সেটা ভালো!

আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।
জনপ্রিয় বার্তা

“মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা”

বাংলাদেশ ও জর্ডানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেট সময় ১০:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ড. খালেদ আল-ফায়েজের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহিদুল হকের আজ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় জর্ডান দূতাবাসে আয়োজিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনার মূল বিষয়বস্তু

  • বাণিজ্য ও বিনিয়োগ:পাট, ওষুধ, হালাল পণ্য রপ্তানি এবং জর্ডানে বাংলাদেশি বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে পরিকল্পনা।
  • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও গবেষণা কর্মসূচি চালুর বিষয়ে সমঝোতা।
  • শ্রমবাজার:জর্ডানে দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং কর্মী অধিকার সুরক্ষা।
  • সাংস্কৃতিক বিনিময়:দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, সংগীত ও উৎসবের পারস্পরিক প্রদর্শনীর প্রস্তাব।

রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহিদুল হক বলেন, “জর্ডানের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সুদৃঢ়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী, আমরা প্রযুক্তি ও সবুজ শক্তির মতো ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়াব।”

জর্ডানের রাষ্ট্রদূত ড. খালেদ আল-ফায়েজ বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অগ্রগতি প্রশংসনীয়। জর্ডান এখানকার ডিজিটালাইজেশন ও কৃষিখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করব।”

কেন এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?

জর্ডান মধ্য প্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদার। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক জর্ডানে কর্মসংস্থানের জন্য যান। এছাড়া, দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন ডলারে সীমিত।

পরবর্তী পদক্ষেপ

  • আগামী এপ্রিলে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যৌথ বাণিজ্য ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
  • বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনীর জন্য জর্ডানে একটি “ট্রেড উইক” আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

রাষ্ট্রদূতরা হলেন দেশের প্রতিনিধি। তাঁরা অন্য দেশের প্রতিনিধিদের সাথে মিলে কীভাবে দুটি দেশের মানুষ একে অপরকে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেন। যেমন—জর্ডানের মানুষ যদি বাংলাদেশের পাটের ব্যাগ ব্যবহার করে, আর আমরা যদি তাদের জর্ডানের খেজুর খাই, সেটা ভালো!