তীব্র তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৭ রাজ্যে জরুরি অবস্থা, লাখো মানুষ বিপর্যস্ত

0

ভয়াবহ তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৭টি অঙ্গরাজ্য জরুরি অবস্থার মুখে। নিউ ইয়র্ক, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, কলোরাডো, পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানে চলছে তীব্র তুষারপাত ও শৈত্যপ্রবাহ। রাজপথ থেকে বাড়িঘর পর্যন্ত জমেছে বরফের চাদর, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় লাখো মানুষ বিপদে। প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ফেডারেল জরুরি তহবিল থেকে সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন।

কী ঘটছে?

  • তুষারপাত:কলোরাডোতে ৪ ফুট বরফ জমেছে, নিউ ইয়র্কে তাপমাত্রা -১৫°C।
  • বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন:১০ লাখের বেশি বাড়িতে লাইট, হিটিং বন্ধ।
  • যাতায়াত বিপর্যয়:৫০০০ এর বেশি ফ্লাইট বাতিল, হাইওয়ে দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু।

কেন এমন তুষারঝড়?

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ড. রায়ান ফোস্টার বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উত্তর মেরুর ঠাণ্ডা বাতাস যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। এটিই ‘পোলার ভরটেক্স’ নামের ঝড় তৈরি করেছে।”

সরকারি পদক্ষেপ

  • সেনা মোতায়েন:সৈন্যরা বরফ সরিয়ে রাস্তা খোলা ও মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।
  • আশ্রয়কেন্দ্র:স্কুল ও কমিউনিটি হলকে অস্থায়ী শেল্টার বানানো হয়েছে।
  • জরুরি হটলাইন:বিপদে থাকলে ডায়াল করুন ৯১১ বা FEMA অ্যাপে সাহায্য চান।

লোকজনের কথা

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা মারিয়া গোন্জালেজ বলেন, “৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। শিশুরা ঠাণ্ডায় কাঁপছে, খাবার শেষ হচ্ছে।”
কলোরাডোর ট্রাক ড্রাইভার জন ম্যাকার্থি বলেন, “রাস্তায় আটকে আছি ১২ ঘণ্টা। সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছি।”

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

তুষারঝড় মানে আকাশ থেকে প্রচুর বরফ পড়া! এত বরফে রাস্তা, গাড়ি সব ঢেকে যায়। তখন বাইরে বেরোলেই ঠাণ্ডা লাগে, বিপদও হতে পারে। তাই সবাই ঘরে থাকার চেষ্টা করে।

কী করতে বলছে সরকার?

১. বাড়িতে থাকুন: ঝুঁকি না নিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস ঘরেই রাখুন।
২. গরম কাপড় পরুন: মোজা, টুপি, গ্লাভস ব্যবহার করুন।
৩. প্রতিবেশীর খোঁজ নিন: বিশেষ করে বৃদ্ধ বা অসুস্থ কেউ থাকলে সাহায্য করুন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও তুষারপাত的可能। কলোরাডো ও নিউ ইয়র্কে তাপমাত্রা -২০°C-এ নামতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৯ জানুয়ারির পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

বিশ্বের সাহায্য

কানাডা ও মেক্সিকো উদ্ধারকারী দল ও জেনারেটর পাঠিয়েছে। রেড ক্রস শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করছে।

শেষ কথা:
প্রকৃতির এই রূঢ় পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ একসাথে লড়ছে। আশা করা যায়, দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরবে, রাস্তা খুলবে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.