ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিলো এনসিপি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৬: আবেদন, সিলেবাস ও প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ গাইড মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ: জিপিএ কমল, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন “মডেল মেঘনা আলম কেন পুলিশ হেফাজতে? জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা” “মুঠোফোন চেয়ে নারীর হাতে অজ্ঞান যুবক, লুট ১ লাখ টাকা” কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি? ইসলাম কী বলে? ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব: কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজ গঠনের মূলমন্ত্র দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা কী? ফরজ গোসল ছাড়াই সেহরি খাওয়া যাবে? জেনে নিন ইসলামি বিধান ইস্তেখারার দোয়া দেখে পড়া যাবে কি? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা

“নির্বাচনে জয়ী হলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব” — তারেক রহমানের ঘোষণা

“আমরা যদি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়ী হই, তাহলে একটি সুস্থ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেব” — বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এক ভার্চুয়াল সমাবেশে তিনি দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কী কী পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি?

তারেক রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হবে:
১. সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন: “বিচারক, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে।”
২. অর্থনৈতিক পুনর্গঠন: “দুর্নীতি বন্ধ করে যুবক ও কৃষকদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে।”
৩. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা হবে।”
৪. ডিজিটাল স্বাধীনতা: “ইন্টারনেট ও মিডিয়ার ওপর থেকে অযাচিত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হবে।”

কেন এই ঘোষণা এখন?

২০২৫ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের কথা থাকলেও এখন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারণা জোরদার করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক মাসে তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিএনপির সমর্থন বাড়ায় এই ঘোষণা সময়োপযোগী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তাসনিম আহমেদ বলেন,

“তারেক রহমানের এই বক্তব্য মূলত তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করে। বেকারত্ব ও ডিজিটাল সেন্সরশিপ তাদের প্রধান উদ্বেগ।”

সমর্থক ও বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া

  • সমর্থকদের আবেগ:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আদনান শাহরিয়ার বলেন, “দেশে সুস্থ গণতন্ত্র চাই। তারেক স্যারের পরিকল্পনা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।”
  • বিরোধীদের সমালোচনা:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। জনগণ সেই অন্ধকার ফিরতে দেবে না।”

তারেক রহমানের রাজনৈতিক পথ

  • ২০০৭ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।
  • বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দূর থেকে।
  • গত পাঁচ বছরে ভার্চুয়াল সমাবেশের মাধ্যমে সমর্থকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

তারেক রহমান জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসে দেশের সব বিভাগে “রাষ্ট্র পুনর্গঠন” বিষয়ক গণসংলাপ করা হবে। এছাড়া, তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ১০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শেষ কথা
তারেক রহমানের এই ঘোষণা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ। নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী ফল পায়, সেটি এখন সময়ের হাতেই থাকল।

যোগাযোগ:

  • বিএনপি মিডিয়া সেল: ০১৭৭৭৭৭৭৭৭৭ | ওয়েবসাইট:bnp.org.bd
  • নির্বাচন কমিশন: ০২-৫৫০০০০০১
আপলোডকারীর তথ্য

মিজানুর রহমান হৃদয়

মিজানুর রহমান হৃদয় বাংলাদেশের একজন তরুন লেখক, তিনি এখন পর্যন্ত ৪ টি বই প্রকাশ করেছেন । ২০১৭ থেকে ২০২৫ চলতি বছর সে বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় কাজ করে আসছেন । আর আমাদের সকালের বার্তা'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছেন ।

‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিলো এনসিপি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা

“নির্বাচনে জয়ী হলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব” — তারেক রহমানের ঘোষণা

আপডেট সময় ০২:০০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

“আমরা যদি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়ী হই, তাহলে একটি সুস্থ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেব” — বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এক ভার্চুয়াল সমাবেশে তিনি দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কী কী পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি?

তারেক রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হবে:
১. সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন: “বিচারক, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে।”
২. অর্থনৈতিক পুনর্গঠন: “দুর্নীতি বন্ধ করে যুবক ও কৃষকদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে।”
৩. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা হবে।”
৪. ডিজিটাল স্বাধীনতা: “ইন্টারনেট ও মিডিয়ার ওপর থেকে অযাচিত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হবে।”

কেন এই ঘোষণা এখন?

২০২৫ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের কথা থাকলেও এখন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারণা জোরদার করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক মাসে তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিএনপির সমর্থন বাড়ায় এই ঘোষণা সময়োপযোগী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তাসনিম আহমেদ বলেন,

“তারেক রহমানের এই বক্তব্য মূলত তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করে। বেকারত্ব ও ডিজিটাল সেন্সরশিপ তাদের প্রধান উদ্বেগ।”

সমর্থক ও বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া

  • সমর্থকদের আবেগ:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আদনান শাহরিয়ার বলেন, “দেশে সুস্থ গণতন্ত্র চাই। তারেক স্যারের পরিকল্পনা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।”
  • বিরোধীদের সমালোচনা:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। জনগণ সেই অন্ধকার ফিরতে দেবে না।”

তারেক রহমানের রাজনৈতিক পথ

  • ২০০৭ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।
  • বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দূর থেকে।
  • গত পাঁচ বছরে ভার্চুয়াল সমাবেশের মাধ্যমে সমর্থকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

তারেক রহমান জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসে দেশের সব বিভাগে “রাষ্ট্র পুনর্গঠন” বিষয়ক গণসংলাপ করা হবে। এছাড়া, তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ১০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শেষ কথা
তারেক রহমানের এই ঘোষণা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ। নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী ফল পায়, সেটি এখন সময়ের হাতেই থাকল।

যোগাযোগ:

  • বিএনপি মিডিয়া সেল: ০১৭৭৭৭৭৭৭৭৭ | ওয়েবসাইট:bnp.org.bd
  • নির্বাচন কমিশন: ০২-৫৫০০০০০১