বাহরাইনের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি

0

বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. খালিদ আল-খলিফার সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সাজেদুর রহমানের আজ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, বাহরাইনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হয়।

আলোচনার প্রধান বিষয়

  • শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার:বাহরাইনে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের চিকিৎসা, বাসস্থান ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা।
  • বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসার:বাংলাদেশের পাট, ওষুধ ও তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য বাহরাইনের বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি।
  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়:বাহরাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং বাংলাদেশে আরবি ভাষা শিক্ষার প্রোগ্রাম চালুর প্রস্তাব।
  • পর্যটন সহযোগিতা:বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বাহরাইনে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের আবেদন।

কী বললেন রাষ্ট্রদূত?

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সাজেদুর রহমান বলেন, “বাহরাইনের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এখানে কাজ করা বাংলাদেশিরা দুদেশের বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ। তাদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা বাহরাইন সরকারের সাথে কাজ করব।”

বাহরাইনের মহাপরিচালকের প্রতিক্রিয়া

ড. খালিদ আল-খলিফা বলেন, “বাংলাদেশের অগ্রগতি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আমরা কঠোর নীতিমালা মেনে চলি। আগামী দিনে যৌথ প্রকল্প বাড়ানো হবে।”

এই বৈঠক কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাহরাইনে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন, যাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া, বাহরাইনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার, যা এখনো পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি।

পরবর্তী পদক্ষেপ

  • দুই দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে।
  • শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশ ও বাহরাইন যৌথভাবে ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করবে।

শিশুদের জন্য সহজ ব্যাখ্যা

ভেবে দেখো, দুটি দেশ ভালো বন্ধুর মতো। তারা একে অপরকে সাহায্য করে। যেমন—বাহরাইনের মানুষ যদি বাংলাদেশের তৈরি জামা-কাপড় পরে, আর বাংলাদেশিরা যদি বাহরাইনে গিয়ে কাজ করে, দুদেশই উপকৃত হয়। বৈঠক হলো সেই বন্ধুত্ব বাড়ানোর আলোচনা!

শেষ কথা:
এই বৈঠক দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশি শ্রমিক, পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা বাহরাইনে আরও সুযোগ পাবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.